ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা আদায় করা । টাকা না দিলে হয়রানি করা।
দুই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাদক পাচারের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও যমুনা টিভির হাতে এসেছে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, আখাউড়া কাস্টমস হাউসের শুল্ক গোয়েন্দা পরিদর্শক সজিব পাল ও শুল্ক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ফারুক ব্যাগেজ স্কিনিং রুমে বসে এক যাত্রীর সঙ্গে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে কথা বলছেন। সেখানে আসাদুজ্জামান ফারুক মমসাদ আলম লস্কর যাত্রীকে বলেন, “‘ তুই ওয়াইন আনবি, এক ওয়াইনে ব্যবসা করবি ৫ হাজার। কী ওয়াইন আনবি আমি কইয়া দিমু। একটা লাগেজে করে আনবি। আমগো যদি দেস তুইও ব্যবসা করে যাবি। তোরে ব্যবসা শিখায়ে দিমু’।
লস্কর জানায়, তার কাছে জামাকাপড় ও চকলেট ছিল। এসময় কাস্টমস কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার পাসপোর্ট ও মালামাল জব্দ করা হয় এবং তাকে জরিমানা করা হয়। জরিমানার কারণ জানতে চাইলে শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, তার কাছে ফেনসিডিল পাওয়া গেছে। এরপর তিনি তার ব্যাগে ফেনসিডিলের বোতল রেখে একজন পথচারীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা পরিদর্শক সজিব পাল অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর ক্যামেরার সামনে শুল্ক পরিদর্শক ফারুক উদ্ধত আচরণ করেন। তিনি বলেন, প্রমাণ থাকলে কিছু করেন। আপনি আমার সম্পর্কে ধারণা রাখলে এমন কথা বলতেন না।
আখাউড়া কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগের শেষ নেই। পাসপোর্টধারীদের অভিযোগ, নানা অজুহাত বা ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
আখাউড়া কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ পাসপোর্টধারী আখাউড়া ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে ভারতে যান। উৎসবের সময় এই সংখ্যা বাড়ে।