ভবিষ্যত অনিশ্চিত আর তাই কার জীবনে কখন কি ঘয়বে সেরা আসলে কেউই জানেনা। দুর্ঘটনা সম্পূর্ণ একটি দৈবাৎ বিষয় এবং এর ওপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ বা হাত নেই। রাস্তা-ঘাটে চলাফেরার সময় মানুষ নিজের অজান্তেই হঠাৎ করেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায় আর তখন কিছুই করার থাকে না। সম্প্রতি ঘটে গেল একটি খুব দুঃখজনক দুর্ঘটনা। কর্মস্থলে যাবার সময় পিছন থেকে এসে একটি প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কা দেওয়াতে প্রয়াত হয়েছে মোহাম্মদ হাকিম নামের এক ব্যক্তি।
মা স্থানীয় জনপ্রিয় রাইস মিলে কাজ করেন। সকাল ৭টার দিকে নাস্তা সেরে একসাথে যেতেন। পিছন থেকে আইসা গাড়িটি মাইরা দিল মামারে! পরে প্রাইভেটকারের নিচ থেকে তার নিথরদেহ উদ্ধার করছি!’ কথাগুলো বলেন সড়কে প্রয়াত মোহাম্মদ হাকিমের ভাগ্নে ইয়াসিন (৬০)।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বারের চাইকঘরিয়া এলাকায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী হাকিমকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই হেকিম প্রয়াত হন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ছয়ঘরিয়া এলাকায় প্রাইভেটকারটিকে একটি অজ্ঞাত যানবাহন ধাক্কা দেয়। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গাড়ির ভেতর থেকে চালক, তার স্ত্রী ও মেয়েকে বের করে। এ সময় চালক ও তার স্ত্রী স্থানীয়দের জানান, গাড়ির নিচে অন্য একজন রয়েছে। পরে স্থানীয়রা গাড়িটি উল্টে দিলে হাকিমের নিথরদেহ পাওয়া যায়। আহত তিনজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। শুনেছি কোনও গাড়ি প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন প্রয়াত হয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, মানুষ তার সামন্য ভুলের জন্য ঘটায় অনেক বড় ঘটনা যেটা আসলে মেনে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। লোকটি প্রতিদিনের মত সেদিনও যাচ্ছিল তার কর্মস্থলে কিন্তু তিনি জানতেন না তার আর ফেরা হবেনা তার স্বজনদের কাছে। এক মুহূর্তের একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তার প্রাণ। এই ঘটনায় তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।