দেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশের নির্বাচন কমিশন বেশ বির্তিকত হয়েছে। মূলত দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে থাকে। বর্তমান সময়ে এই কমিশনের দায়িত্ব পালন করছে কে এম নুরুল হুদা। তবে তার মেয়াদ শেষের পথে। এরই লক্ষ্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনের কার্যক্রম নিয়ে বির্তিকত হলেও সম্প্রতি নতুন নির্বাচন গঠনকে ঘিরে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এরই সুবাধে এবার তার সমালোচনা করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমনকি তিনি জানালেন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কথা খুব পরিষ্কার, নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘২০০১ সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সর্বশেষ নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে (সরকার) সরানো যাবে না। দানবকে সরাতে হলে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। এখনো সময় আছে মানুষের ভাষাগুলো পড়েন, দেয়ালের লিখন পড়েন। মানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান। জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন। এটাই শেষ কথা, আমরা কোনো নির্বাচন মেনে নেব না যদি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো নির্বাচন কমিশনার হুদা সাহেব যিনি নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে পুরোপুরি ধ্বং/স করে দিয়েছেন, তিনিও বলছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত। যাওয়ার সময় হয়েছে তো, এখন আর আগের মতো প্রটেকশন পাবে না।’
বর্তমান সময়ে দেশের রাজনৈতিক মাঠে বেশ অবহেলিত একটি দল বিএনপি। এই দলটি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করেছে। তবে দলটি এখন নানা ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে দলটি বেশ আশাবাদী। এবং এরই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশে সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের তাগিদে বেশ কিছু দাবি তুলেছে দলটি।