যমুনা ফিউচার পার্কে ঘটে গেল দুঃসাহসিক এক চুরির ঘটনা।যেখানে একটি দোকান থেকে বেশকিছু মোবাইল ফোন চুরি করে চোর চক্র। তারা কোনো বাধা ছাড়াই একটি দোকান থেকে নামিদামি মোবাইল ফোন চুরি শেষে ওই ফোনগুলোর কিছু বিক্রি করে বসুন্ধরা মার্কেটের একটি দোকানে। এবং মুদি দোকানের ময়লার ঝুড়িতে কিছু ফোন রেখে যায়
অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি গুলশান জোনের সদস্যরা তদন্ত করে চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা মোবাইল ফোন চুরি করে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করত। অ্যাপল, স্যামসাং ও সনি ব্র্যান্ডের ৫৫টি দামি মোবাইল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “চোররা এখন স্মার্ট। তারা এখন স্মার্ট উপায়ে চুরি করছে। আগে ঢাকা শহরে গুলিস্তানকেন্দ্রিক চোরাই মোবাইল কেনা-বেচা হতো। এখন দেখা যাচ্ছে বসুন্ধরার মতো শপিংমলগুলোতে চুরি করা দামি মোবাইল বিক্রি হচ্ছে। চোররা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে তারা এখন সবকিছুই স্মার্ট ভাবে করে।
গ্রেফতারকৃতরা জানায়, চুরি হওয়া মোবাইলের আইএমই নম্বর নেই। ব্যবসায়ীরা লাগেজ পার্টি ও পাচার করা ফোন বিক্রি করছিলেন। এসব ফোন থেকে সরকারের কোনো আয় হয়নি।
ডিবি প্রধান বলেন, “আমরা তিনজনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আরও কিছু তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে চুরি করা মোবাইল ফোন বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, “বাজারের ব্যবসায়ীদের বলবো, এসব চোরাই মোবাইল কিনবেন না। চুরি করা মোবাইল না কিনলে চুরি কমে যাবে। কারণ বাঁচতে না পারলে চলবে না। আর চুরি কর।এতে চুরি অনেক কমে যাবে।
যমুনা ফিউচার পার্কের এই চুরির বিষয়ে ডিবির গুলশান জোনের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, আমরা চোর ধরতে গিয়ে দেখি, খিলক্ষেতে চোর নাহিদ হোসেনের মায়ের বাড়ির মুদি দোকানে ময়লার ঝুড়িতে পলিথিনে মোড়ানো বেশিরভাগ মোবাইল ফোন। বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে আগত ক্রেতাদের কাছে বিক্রির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা আরও দুই চোর বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন দেখায়।