নারায়ণগঞ্জে ‘মা/দক, স/ন্ত্রাস, চাদাবাজি, ইভটিজিং, ভূমি ডাকাতির’ বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েও আসেননি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এর সঙ্গে জড়িত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, “মা/দক, স/ন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ডাকা সমাবেশে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতে আমি বিব্রত। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কেন আসেননি সেই প্রশ্নের জবাব চাইব। আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকার থেকে একজন সংসদ সদস্যকে ডাকার পর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কেন আসেননি তার ব্যাখ্যা চাইব।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনগণ রাস্তায় নামলে তারা প্রশাসনকে চায় না। কিন্তু তখন কেউ থাকতে পারবেন না।
শনিবার বিকেলে শহরের ইসদাইর এলাকার ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে শামীম ওসমানের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৬২। আমাকে ২৬ বছর বা/নাতে চাইয়েন না। যদি ২৬ নেমে আসে তবে কিন্তু সব বলে দেব।
তিনি বলেন, “আমি তাদের দাওয়াত দিয়েছি। সরকার আওয়ামী লীগের। প্রশাসন আসেনি। তাদের মন শক্ত করার জন্য কী বলব? আনোয়ার ভাইকেও বলেছি (মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি), তিনি দেশের বাইরে আছেন চিকিৎসার জন্য। আমার ছোট বোন আইভি হয়তো ব্যস্ত। আমি বলতে চাই- সবাই আসুন। আসুন একসাথে বসে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যাই।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি মাথা নত করার লোক নই। অনেকে অনেক কিছু করে, আমরা দেখি। যাত্রাবাড়ীতে টাকা আটক, ফতুল্লায় মামলা। আমি এসব বলতে চাই না। হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ, আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি আরো বলেন, আমার আদরের ছোট বোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুই বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে আসেন, দুই হাতে টাকা কামাই এবং চলে যান। আমি এভাবে বলতে পারব না।
শামীম ওসমান বলেন, “মা/দক নির্মূলে আমার উদ্যোগের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আত্মকর্মসংস্থান মন্ত্রী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে অনেকেই সুযোগ নেয় এবং অনেক কিছু করে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রেসক্লাবের সভাপতিকে সিটি করপোরেশনের সমস্যা সমাধানে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিটি করপোরেশনের সমস্যা সমাধানে আমাকে ডাকা হলে আমি অবশ্যই যাব।
গত ৪০ বছরে নারায়ণগঞ্জে এমন সভা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। সভায় শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম, সুশীল সমাজ, ইমাম, পুরোহিত, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন না। নারায়ণগঞ্জের দুই সংসদীয় আসনে প্রায় শতাধিক ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের এক হাজার মানুষ মা/দকের বিরুদ্ধে কথা বললে, কেউ মা/দক বিক্রির সাহস পাবে না।
শামীম ওসমান বলেন, সবাই এভাবে মা/দকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ৪-৫ লাখ মানুষ মাঠে নামবে। আমি মনে করি এটি মা/দক নির্মূল করবে
বিশ্বাস।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, পাবলিক প্রসিকিউটর মনিরুজ্জামান বুলবুল, প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম ও ফারুক প্রমুখ। অন্যান্য. .