পৃথিবীতে সব থেকে চিরন্তন একটি সত্য ‘মৃত্যু’, যার হাত থেকে বাঁচতে পারে না কেউ। এই সাধের পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সবাইকেই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। তবে ক্ষনিকের এই দুনিয়ায় মানুষের জীবনে এমনও কিছু ঘটনা ঘটে, যা রীতিমতো ভোলার নয়। ঠিক যেমনটা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার সঙ্গেও।
জানা যায়, চট্টগ্রামে চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। একপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যান নালায়। প্রায় ৫ ঘণ্টা খোঁজার পর সাদিয়ার /ম/র/দে/হ মি/লেছে আ/বর্জ/নার স্তুপে। সত্তরো/র্ধ্ব নানা জামাল আহমেদ সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়েছিলেন কিন্তু বাঁচাতে পারেননি নাতনীকে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মেহে/রীন মাহবুব সাদিয়ার (২০) /লা/শ/ উ/দ্ধার করা হ/য়েছে। এর আগে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদমতলী এলাকায় নালায় পড়ে যান সাদিয়া।
নাতনীর /মৃ//ত্যু মেনে নিতে পারছেন না জামাল। শুধু আক্ষেপ করতে করতে বলতে লাগলেন, নাতনীর হাতটি ধরা থাকলে হয়তো পড়তো না।
সাদিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বারবার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন তার মা শেলী আক্তার। বারবার সাদিয়ার আঁকা বিভিন্ন জিনিসগুলো দেখে কান্না করছিলেন, স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তাই তার বাবা মা দুজনকেই ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।
এক রুমে বসে আছেন সাদিয়ার নানা জামাল আহমেদ, যিনি সাদিয়া নালায় পড়ে যাওয়ার সময় সাথেই ছিলেন। স্বজনরা পাশে বসে তাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
সাদিয়ার নানা জামাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দোকানে অনেক চশমা দেখিয়েছে। কিন্তু একটা চশমাও পছন্দ হয়নি তার। সকালে আবার দোকানে গিয়ে চশমা পছন্দ করার কথা ছিল। তার আগেই আমার নাতনি চলে গেল।
তিনি আরও বলেন, সাদিয়া পড়ে গেলে সাথে সাথে তিনিও লাফ দেন। তাকে দেখে তার ছেলে জাকিরও (সাদিয়ার মামা) লাফিয়ে নামে।
“যদি হাতে থাকত … পড়ত না।” এমন একটা কথা বলে খালি আক্ষেপ করছেন সাদিয়ার নানা।
এদিকে এই শিক্ষার্থীর মৃ/ত্যু/তে গোটা পরিবার-পরিজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। তার এ অকাল /মৃ/ত্যু/ কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না তারা। এদিকে এ খবর শুনে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে এসেছে আত্মীয়স্বজনেরাও। অন্যদিকে সাদিয়াকে শেষবারের মতো দেখতে তার বাড়িতে ভির জমায় শত শত গ্রামাবাসীরাও।