সম্প্রতি অনাস্থা ভোটে পরাজয় বরন করে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ( Imran Khan )। তিনিই পাকিস্থানের ( Pakistan ) প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমাচ্যুত হয়েছেন। ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের পর থেকে নানা প্রকার রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এবার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বললেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে পাকিস্তান ভেঙ্গে যেতে পারে।
যু/দ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের উদাহরণ তুলে ধরে পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ( Imran Khan ) হুঁ/শিয়ারি দিয়েছেন যে, এস্টাব্লিশমেন্ট (পাকিস্তান সেনাবাহিনী ( Pakistan Army )) সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে তার দেশ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে যাবে।
বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এ হুঁ/শিয়ারি দেন।
সম্প্রতি পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নিই, তাহলে পাকিস্তান আ/ত্মহত্যার দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। তার দেশ খেলাপি হওয়ার দিকে যেতে পারে।।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালককে ইমরান খান বলেন,”যদি এস্টাবলিশমেন্ট (পাকিস্তান আর্মি) সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, আমি আপনাকে লিখতে পারি, তারা (পাকিস্তান ও এস্টাব্লিশমেন্ট) ধ্বং/স হয়ে যাবে।” সর্বপ্রথম সশস্ত্র বাহিনী ধ্বং/স হবে। ”
তিনি বলেন, “দেশটি ধ্বং/স হলে সেটি খেলাপি হবে। তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের সঙ্গে পারমাণবিক নি/রস্ত্রীকরণের বিষয়ে কথা বলবে। ঠিক যেমনটা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে ইউক্রেন করেছিল।”
ইমরান খান বলেন, ভারতীয় চিন্তনপ্রতিষ্ঠানগুলো বেলুচিস্তানকে আলাদা করার কথা বলছে। তাদের এমন পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্যই তিনি চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি কাকে চাপ দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি।
পিটিআই প্রধান বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান জোট সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করবে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি সবসময় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং ইসরায়েলি জোটকে খুশি করার জন্য কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন তার দেশকে ধ্বং/স করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এসময় যদি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন না করতে পারে দেশের সেনাবাহিনী তাহলে দেশটি হু/মকির মুখে পড়বে।