বাংলার নারীরা যে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারে সেটা তারা প্রমাণ করে দেখিয়েছে বাস্তবে। তারা ঠিকই প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলার বাঘিণীরা কোনোদিক থেকে পিছিয়ে নেই। টাদের এই জয় উজ্জল করেছে পুরো বাংলার মুখ। সাফবিজয়ী নারীরা দেশজুড়ে ভাসছেন প্রশংসার জোয়ারে। তাদের এই অর্জন ভবিষ্যত প্রজন্মকে পথ দেখাবে। সম্প্রতি জানা গেল নারী ফুটবলারদের চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার না হলে দেবে বাফুফে।
হিমালয় জয় করে দেশে ফিরেছে বিজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তারা দেশে ফিরলে ব্যাপক সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। কিন্তু এত আনন্দের মাঝে এলো দুঃসংবাদ। দলীয় সদস্য কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামুসন্নাহারের লাগেজ থেকে ডলার চুরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফফে) এরই মধ্যে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধারে পদক্ষেপ নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাকা উদ্ধার করা সম্ভব না হলে বাফে নিজেদের পক্ষ থেকে কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামুসন্নাহারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাফুফে মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এটা আশা করিনি। চুরি হয়েছে মাত্র দুই ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার ৯০০ ডলার ও শামছুন্নাহার ৪০০ ডলার। মোট 1300 ডলার চুরি হয়েছে। আর কিছু চুরি হয়নি। আমরা ইতিমধ্যে বিমানবন্দরে একটি অফিসিয়াল অভিযোগ দায়ের করেছি। চিঠি না দিলে তারা কাজ শুরু করবে না। অভিযোগের আগে ফোনেও জানিয়েছি। এরপর সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এরপর ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নির্বাহী কমিটির এই সদস্য যোগ করেন, ‘ওরা শিশু। এটা তাদের জন্য অনেক বেশি টাকা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আর এই টাকা না পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাউফে)। ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরা তাদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেব। একই ভ্যানে আমার নিজের লাগেজও ছিল। কিন্তু আমার ব্যাগের কিছুই হয়নি। আমার ব্যাগ অক্ষত ছিল।’
সোমবার ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার মুকুট জিতে বুধবার ঢাকায় ফিরেছেন ফুটবলাররা।
প্রসঙ্গত, বিজয় ছিনিয়ে আনা যতটা সহজ মনে করা হয় ততটা সহজ না। বিজয় অর্জন করার জন্য করতে হয় কঠোর পরিশ্রম এবং সেই সাথে থাকতে হয় দৃঢ় মনোবল। বিজয়ের নেশা নিয়েই বাংলার বাঘিণীরা নেমেছিলেন মাঠে। আর সেই লক্ষই তাদেরকে এনে দিল বিজয়। তারা নিজেদের গর্বিত করার সাথে বাংলার সব মানুষকে করেছে গর্বিত।