বর্তমান সরকরের আমলে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সাধারন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। দেশ পরিচালনার জন্য প্রতিটি সেক্টরকে আধুনীকায়ন করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য দেশের প্রতিটি বাহিনীতে আধুনিক সারঞ্জামের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে নতুন করে প্রশিক্ষন বিমান সংযুক্ত করা হল।
বিমান বাহিনীতে ১২টি গ্রোব-১২০প্রশিক্ষণ বিমান অন্তরভুক্ত করা হল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ( Sheikh Hasina ) বলেন, আজ আপনাদের গর্ব ও আনন্দে দেশের মানুষ গর্বিত ও খুশি। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের জন্য সংগৃহীত এই মূল্যবান প্রশিক্ষণ বিমানটির উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে আপনাকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করবেন। লোকসান হলে দেশের জন্য বড় ক্ষতি হবে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একজন বিমানচালকের জীবন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার সকালে ( morning ) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে গ্রোব-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যশোরে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে আয়োজিত গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কার্যত যুক্ত ছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৭৫-এর দীর্ঘ ২১ বছর পর ৯৬ সালে সরকার গঠিত হলে তিনি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনী ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, বিভিন্ন ধরনের রাডার, মিসা” /ইল ও প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত হয়েছে। নতুন ঘাঁ”টি, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিমান বাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, “দেশে প্রোটোটাইপ বিমান তৈরির জন্য বিমান বাহি”নী যে সাম্প্রতিক গবেষণা শুরু করেছে তা আমাদের আশাবাদী করেছে।” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি মহাকাশ গবেষণা, বিমান বাহিনীর উন্নয়ন এবং বেসাম’রিক বিমান চলাচল সেক্টরের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত ও যুগোপযোগী বিমান চালনা প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক ফ্লাই-বাই-ওয়্যার এবং ডিজিটাল ককপিট-সজ্জিত ইয়াক-১৩০ যুক্ত করেছি। কমব্যাট ট্রেনার, কে-৮ ডব্লিউ জেট ট্রেইনার, এল-৪১০ ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার এডব্লিউ-১১৯ কেএক্স হেলিকপ্টার প্রশিক্ষক এবং বিভিন্ন ধরণের সিমুলেটর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিমান বাহিনীতে ১২টি গ্রোব-১২০ প্রশিক্ষণ বিমান অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জন্য প্রতিটি দ্রব্য ও সরনঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। জনগনের অর্থ দিয়ে সেগুলো ক্রয় করা হয় সঠিক ভাবে সেগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা সরকারের দায়িত্ব বলে মরে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগন। দেশের সার্বিক কর্মকান্ড প্রনয়নে সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিবেন এটাই জনগনের প্রত্যাশা।