আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট নিয়ে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর পান্থপথে তার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে এক ঘণ্টা পর তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
গত ৪ নভেম্বর রাতে শাহজাহান ওমরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন বাসে আ/গুন দেওয়ার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বুধবার বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান শাহজাহান ওমর। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ঢাকা থেকে অনলাইনে ঝালকাঠি-১ আসনের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে তিনি দাবি করেন, তিনি স্বেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে গেছেন।
বিএনপি ছাড়ার কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে চলা সম্ভব না হওয়ায় আমি দলের রাজনীতি ছেড়েছি। জিয়াউর রহমানের রাজনীতির চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি আরও উন্নত। তাই নৌকায় ভোট করব।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে যাচ্ছে না, আমি কী করব? স্বতন্ত্র যাবে কেন? স্বতন্ত্র হওয়া মানে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা। যেহেতু বিএনপি (নির্বাচন) করছে না। আর যেখানে আমার বিকল্প আছে, স্বতন্ত্রে কেন যাব, নাচতে নামছি যখন, ঘোমটা দিলে হবে নাকি? স্বতন্ত্র নামে কোন জিনিস আছে? আমি কেন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, যখন আরও ভালো বিকল্প আছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়ার রাজনীতি ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে যোগ দেওয়াকে আমি প্রমোশন বলে মনে করি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়াটা বিএনপির ভুল ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যাওয়াটা একটা ভুল ছিল। এবারও নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। নির্বাচনে গিয়ে দেখতাম কারচুপি হয় কি না?
শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আসলে বিএনপিতে কেউ কথা বলতে চায় না। শুধু তারিক রহমান ইস্যু নয়। সব মিলিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। ২০২২ সালে বিএনপি থেকে অবসর নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।