নাটোরে মামুন হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে বিয়ের পর সম্প্রতি আলোচনায় আসা সেই কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪৫) মৃত্যু নিয়ে রীতিমতো সারাদেশ-জুড়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, মৃতের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে বলেও নিশ্চিত করে চিকিৎসক। আর এরই আলোকে ধারনা করা যাচ্ছে, আত্মহননই করেছেন ঐ শিক্ষিকা।
তবে এ মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে কলেজ শিক্ষকের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে পুলিশ ও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন খায়রুন নাহার আ/ত্ম/হনন/ করেছেন।
এবং যেহেতু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে /হ//ত্যা//র কোনো প্রমাণ নেই এবং মামলায় শিক্ষকের স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাই পুলিশ তাকে সোমবার (১৫ আগস্ট) ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করবে।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায় জানান, ময়নাতদন্তে কলেজ শিক্ষকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও মেডিকেল টিমের রিপোর্টে /হ//ত্যা//র সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় উপসর্গগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, কলেজ শিক্ষকের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে আসামি না করায় মামুনকে ৫৪ ধারায় আজ বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানা জানি হয়। পূর্বের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর মামুনকে পেয়ে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন খায়রুন নাহার।