চলচ্চিত্র তারকা দম্পতি ওমর সানি-মৌসুমীর সুখের সংসারে সম্প্রতি টানাপোরেন শুরু হয়েছিল জায়েদ খানের ইস্যুকে কেন্দ্র করে! চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে নিয়ে তাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বিষয়টি আরো ঘোলাটে রুপ ধারন করেছিল। আর সেসব পরস্পর বিরোধী বক্তব্য ও জাগতিক উত্তেজনা নিয়ে তারা লড়াই করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্ত্রী মৌসুমীকে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ওমর সানি। তবে মৌসুমী একটি অডিও বার্তায় বলেছিলেন যে জায়েদ তাকে কখনই অসম্মান করেননি, একই সাথে তাকে প্রশংসা করেছেন। ওমর সানি কেন এমন অভিযোগ করছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। অডিও বার্তার একপর্যায়ে মৌসুমী সানিকে ভাই বলে ডাকেন। এতে সামাজিক মাধ্যেমে আরো আলোরনের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সকল আলোড়নকে পিছনে ফেলে এখন তারা আবার সুখের সংসারে দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুজনেই।
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তাকে কেন্দ্র করে ওমর সানি-জায়েদের সাজা, তার পর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য, পারিবারিক ভাঙ্গনের গুজব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও অনেক বিষয়। দূরত্ব কেটে অবশেষে আবারও এক হয়েছেন সানি-মৌসুমী।সব তর্ক-বিতর্ক ভুলে আবারও এক হলেন সানি-মৌসুমী। জায়েদ ইস্যুতে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনের অবসান ঘটছে। সব সমঝোতা সত্ত্বেও তাদের দুজনের দেওয়া অডিও-ভিডিও সম্পাদিত বক্তব্যে কিছু লোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওমর সানী। এক অডিও বার্তায় তিনি মৌসুমীর প্রতি আহ্বান জানান, কিছু জায়গায় এডিট করে তার বক্তব্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে। সোমবার এক অডিও বার্তায় ঢালিউডের এই নায়ক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মিডিয়ায় দেখছি আপনারা কেউ কেউ আমার আগের বক্তব্য থেকে কিছু অংশ কেটে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী ও আমার সম্পর্কে খারাপ কথা ছড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আমার ও মৌসুমীর নিজস্ব সংলাপ তৈরি করে কেউ কেউ এটিকে প্রচার করছেন। এটি বিভ্রান্তিকর কাজ। এগুলো বাদ দিন। এসব থেকে দূরে থাকুন।
অডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, আপনি কি জানেন যে আমাদের মধ্যে যে সমস্যাটি ছিল তা সবার দোয়া ও ভালোবাসায় সমাধান হয়ে গেছে। আমরা এখন একই ছাদের নীচে, আমরা একসাথে, আমরা একই বাড়িতে। আমি, মৌসুমী, সন্তান ফারদিন, ফাইজা, আমার ছেলের বউ আয়েশা—আমরা একসাথে। আমি ভালো আছি, আমরা খুশি। অডিও বার্তায় সানিকে আরও বলতে শোনা যায়, দেখুন, মৌসুমী আমার স্ত্রী। আমি চরিত্রের কথা বলছি না। তার মতো বিশাল পাহাড়ের মতো জনপ্রিয়তার শিকলে আঘাত মারতে কে বলেছে? এই অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? থামুন, উপরেরটি দেখুন। আর খারাপ এডিটিং ছেড়ে দিন। একজনের কথা আরেকজনের সাথে এডিট করে আপনি পার্থিব দূরত্ব তৈরি করছেন। এই সম্পাদনা ব্র্যান্ড জিনিস ছেড়ে দয়া করে. যারা এই কাজ করছেন তাদের শুভবুদ্ধির উত্থান হোক। ভাল থেকো। অডিও বার্তার অংশবিশেষে এক প্রশ্নে ওমর সানি বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝগড়া নেই, হালকা দূরত্ব বা দৃষ্টিভঙ্গি নেই। শুনেছেন আপনাদের বাবা-মা ভিতরে এরকম কখনো হয়নি? আপনার আশেপাশে প্রতিবেশীদের ভিতরে দেখতে পাচ্ছেন না? নাকি নিজের মধ্যে কখনো নেই? আমরা সবাই কি দুধে তুলসী পাতা? না, আমরা কেউ না। আপনারা কেন মৌসুমীকে নিয়ে এমন বলছেন?
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী ওমর সানির সঙ্গে মৌসুমীর মুখ দেখছি, কথাও হচ্ছে। এই দূরত্বের জন্য জায়েদ খান দায়ী বলে সানির দাবি। তিনি মৌসুমীকে বিরক্ত করতেন। এ নিয়ে শিল্পী সমিতির কাছে অভিযোগও করেছেন সানি। শুধু তাই নয়, অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের আয়োজন করায় জায়েদ খানকেও চড় মারেন ওমর সানি। উল্টো জায়েদ সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেন। মৌসুমী পরে এক অডিও বিবৃতিতে বলেন, জায়েদ তাকে কখনো বিরক্ত করেননি। ফলে বিষয়টি ভিন্ন মোড় নেয়। পরে অবশ্য মুখ খুললেন মৌসুমী-সানির ছেলে ফারদিন। তিনি পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে অভিভাবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটান।
উল্লেখ্য, জায়েদ- ওমর সানির মধ্যে যখন চরম ভাবে সংকট চলমান ঠিক সেই সময় মুখ খুলেছিলেন মৌসুমী। ওমর সানির অভিযোগের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছিল। ওমর সানির অভিযোগ কে মিথ্যা প্রচার করে বার্তা দিয়েছিলেন মৌসুমী! এক অডিও বার্তায় মৌসুমী বলেছিলেন, আমি মনে করি না আমাকে এই বিষয়ের ভিতরে টানার কোনো প্রয়োজন ছিল। আমি জায়েদকে অনেক ভালোবাসি, তিনি আমাকে যথেষ্ট সম্মান করেন। আমাদের মধ্যে কাজের সম্পর্ক যতদূর সম্ভব। তার আমাকে অসম্মান করার প্রশ্নই আসে না। আমি তার মধ্যে এমন কিছু দেখিনি যা ভালো গুণ ছাড়া এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই বলব, সে খুব ভালো ছেলে। সে আমাকে কখনো অসম্মান করেনি। ওমর প্রসঙ্গে সানির অভিযোগ, তিনি আরও বলেন, কেন বারবার এই প্রশ্ন আসছে, তিনি (জায়েদ খান) আমাকে বিরক্ত করছেন! বিষয়টি আমার… কেন জানি না। যদিও এটা আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। আমাদের নিজেদের ভিতরেই মিমাংশা করার প্রয়োজন ছিল। পারিবারিকভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যেত।