সম্প্রতি বিনোদন জগতের তারকাদের বির্তকিত কর্মকাণ্ডে জড়িনোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠেছে বিভিন্ন মহলে।তার এমন কর্মকাণ্ডে জড়ানো কারণে এক প্রকার সমালোচনার মুখে পড়েছে সমগ্র বিনোদন মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। শুধু নয় নানা মহলে প্রশ্নে সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
মৌসুমি ছিলেন নব্বই দশকের অত্যন্ত স্মার্ট তারকা। মডেলিং করে সেই সময়ের ইয়ং জেনারেশনের মন কেড়েছিলেন তিনি। মৌসুমির তারকা হয়ে ওঠার পেছনে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ভূমিকা ছিল। তিনি মৌসুমিকে রিপ্রেজেন্ট করে বাংলা চলচ্চিত্রকে ঝলমলে করেছেন। “কেয়ামত থেকে কেয়ামত” ছবিতে মৌসুমিকে দেখেই লুফে নিয়েছিল আমাদের মত তৃষ্ণার্ত দর্শক। কারণ সেই সময় জুহি চাওলার রিফ্লেকশন হিসেবে নতুন নায়িকা মৌসুমি ছিলেন অতুলনীয়।পাবলিক ঠিক এমন একজন চিত্রনায়িকা খুঁজছিলো মনে মনে। যেটা ফুলফিল করেছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। আর সালমান শাহ তো লাজওয়াব ছিলেন। আমার তো মনে হয়েছিল আমির খানকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আমাদের সালমান শাহ। মৌসুমির আগমন চলচ্চিত্রের জন্য সুবার্তা বয়ে এনেছিল। মৌসুমির তারকা খ্যাতি ছিল বিস্তর। কথাটা আমার অনেকবার বলা হয়েছে, আমি খাইরুন সুন্দরী মৌসুমির ভক্ত। মৌসুমি আমার কাছে উঁচুদরের তারকা। শুধু আমার কাছে নন, লাখ লাখ ভক্তের কাছে তিনি উঁচুদরের তারকা। সেই মৌসুমিকে নিচুস্তরে দেখতে পছন্দ করবো না এটাই স্বাভাবিক। লাইকি, টিকটকের মত অ্যাপে তাকে মানায় না।ওমর সানি মৌসুমির মুখপাত্র হয়ে বিগো/ লাইকি অ্যাপ নিয়ে কিসের সাফাই দিচ্ছেন?কেন দিচ্ছেন?সানির কথাই ধরে নিলাম। ধরুন, অ্যাপের নাম বিগো নয়, অ্যাপের নাম লাইকি। কিন্তু মৌসুমির মত তারকাকে এসব সস্তা অ্যাপে এসে নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হবে কেন?ভিডিও চ্যাটের কনভারসেশনে যেসব সস্তা টাইপের বাক্য বিনিময় হয়েছে সেগুলো রুচিসম্মত ছিলনা। এই জায়গায় মৌসুমি কেন হবেন? অন্য যে কেউ হোক তাতে কারো কিছু যায় আসেনা। কিন্তু ওমর সানি সেটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উনি এটাই বুঝতে পারেননি, বিগো/লাইকিতে মৌসুমির অংশগ্রহণ তার ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত দেয়। বিগো/লাইকি নিয়ে সানির জাস্টিফাই হাস্যকর। আবারও বলছি, বিগো/ লাইকি ম্যাটার নয়। ম্যাটার হলো মৌসুমি, দ্যাটস ইট।মৌসুমির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের এমন দুর্দিন আর না আসুক।