সিনেমা জগতের স্বনামধন্য খলনায়ক অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিল তারকাদের ঢল। আর সেখানেই অপ্রীতিকর কাণ্ড ঘটালেন ওমর সানি। তিনি চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে প্রকাশ্যেই থাপ্পড় মে”রে বসেন। যার কারণে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার দুদিন পর মৌসুমীর মন্তব্যে ফের আলোচনা-সমালোচনায় ঘি ঢালা পড়ে।
এদিকে সানির স্ত্রী মৌসুমী দুদিন পর মুখ খুলে সানি-জায়েদ প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেন তিনি। মৌসুমীর বক্তব্যের পর এবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন জায়েদ খান। জায়েদ খান গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
জায়েদ খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয় সামনে এনে ওমর সানি শিল্পীদের হেয় করছেন বলে মনে করেন অভিনেতা। জায়েদ খান গণমাধ্যমকে জানান, তিনি অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। কিন্তু ওমর সানি ভাই কেন সিনিয়র মানুষ হিসেবে আমাকে অসম্মান করলেন, মিডিয়ায় কেন মিথ্যা অভিযোগ করলেন তা আমি বুঝতে পারছি না। সামনেই আমাদের শিল্পী সমিতির রায়, সেটা ঘিরেও হতে পারে।
সংসার ভাঙার খবরে জায়েদ খান বলেন, কিছু লোক বলতে চাইছে জায়েদ খানের কারণে তাদের সংসার ভেঙে যাবে। অনেকেই এখন ঘটনার মধ্যে কিছু খোঁজার চেষ্টা করবেন। আমি মৌসুমী আপুকে শ্রদ্ধা করি, তিনিও অডিও বার্তায় সবকিছু পরিষ্কার করেছেন। তার মর্যাদা সবার বজায় রাখা উচিত।
এদিকে মৌসুমীর অডিও বার্তার পর মুখ খুললেন সানি-মৌসুমীর ছেলে ফারদিন। তিনি বলেন, জায়েদ খান তার মাকে (মৌসুমী) বিরক্ত করেছেন। জায়েদ খানকে রাস্তার ব্যাঙের সঙ্গে তুলনা করে ফারদিন বলেন, শুধু আমার মা নয়, তিনি (জায়েদ) প্রায় সবাইকে হয়রানি করছেন। আমরা চাই না বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসুক। জায়েদকে আমরা তেমন গুরুত্ব দেইনি।
বাবা-মায়ের সম্পর্ক এখন কেমন জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, সব ঠিক আছে। আমি তো আমার আব্বুকে পাচ্ছি, আম্মুকে পাচ্ছি। হ্যাঁ, অনেক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকে। আমিও বিয়ে করেছি। আমাদেরও তো সমস্যা হয়ে থাকে। এটাই স্বাভাবিক. তবে আব্বু-আম্মু দুজনই চান বিষয়টি দ্রুত সমাধান হোক। ছেলে হিসেবে আমি আমার বাবা-মা দুজনকেই চাই। দিন শেষে এর দ্রুত সমাধান চাই।
ফারদিনের মতে, ২০২২ সালে এটি হাইলাইট করার বিষয় নয়। কিন্তু সত্য হলো তিনি (জায়েদ খান) বিরক্ত করেছেন। আমি চাইলেও এখন সবার সামনে প্রমাণ পেশ করতাম না। আমার ব্যবসার ক্ষতি করারও চেষ্টা করেছে। আমি হয়তো এসব প্রমাণ করতে পারবো না। আমি জানি বিষয়গুলো, আমি জনসমক্ষে সবকিছু বলব না। তবে আমি তাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাব এমনটি না। আমি তাকে নিয়ে এতটা চিন্তা করি না। জায়েদ খান আর রাস্তার ব্যাঙ এক জিনিস। তাই তাকে নিয়ে ভাবছি না।
প্রসংগত, ঘটনার পর ডিপজল কিছুটা সরব হলেও তিনি বর্তমানে এ বিষয়টি থেকে দূরে রয়েছেন। কারণ, কিছুদিন আগে তার বড় ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আর যেহেতু অনুষ্ঠানটিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাই তিনি এ বিষয়টি নিয়ে আর তেমন কিছু বলছেন না বলে জানা গেছে।