সম্প্রতি ভারত সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই সফরের পর তাকে নিয়ে সেই দেশে হয়েছিল বেশ লেখা লেখি। ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি সাপ্তাহিক ইন্ডিয়া টুডে-তে একটি নিবন্ধ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনা থেকে রাজনৈতিক লাভের জন্য বিরোধীদের সমালোচনা করে, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিষ্ঠাতা নীতিকে সমর্থন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “একমাত্র আশা” বলে উল্লেখ করে।
শেখ হাসিনার কঠোর রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে নিবন্ধে বলা হয়েছে, “বঙ্গবন্ধু পরিবারের মতো সন্ত্রাসের শিকার সর্বদা চরমপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গণনা করা যেতে পারে।”
নিবন্ধটি বিএনপি-জামাত জোটের সমালোচনা করে, বেগম জিয়াসহ ‘৭৫-পরবর্তী সরকারের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের খু’নি’দে’র মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র উল্লেখ করে।
ইন্ডিয়া টুডে-এর ডিজিটাল নির্বাহী সম্পাদক দীপ হালদার এই নিবন্ধে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন যে ‘দেশের হিন্দুদের জন্য শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা’।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে যে তৃণমূল পর্যায়ে হিন্দুদের সাথে লেখকের আলোচনা এই বিষয়টিকে আরও বিস্তৃত এবং স্পষ্ট করেছে।
ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে তার পরিদর্শনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছেন: ‘আমি এই সত্য থেকে সান্তনা পেয়েছি যে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশ কল্পনা করেছিলেন এবং গড়ে তুলেছিলেন, সেখানে গত বছর তান্ডব চালানো এমন মৌলবাদীদের জন্য কোনও স্থান ছিল না। ’
“আমার মনে আছে কিভাবে আপনার পরিবার দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করার জন্য এত টাকা দিয়েছিল এবং কিভাবে আপনি, ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী, চার দশকে ১৯ বার হ’ত্যা’ প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সব সময় একটা সু-সম্পর্ক বজায় থাকে। আর এই কারনে বাংলাদেশ ভারতকে বরাবরই পরম বন্ধু হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।