ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দেশে লু/টের রাজত্ব কায়েম করেছেন। লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটের মুখে ফেলেছে অথচ সেই কর্মকান্ডের সম্পর্ন দায়ভার দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। কোনো আলোচনা ছাড়া জ্বালানি তেলের বৃদ্ধি করেছ যার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য হুহু করে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এসব নিয়ে কোনো কথা বললে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন, দমন. পীড়নের পথ বেছে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।বিরোধীদল যেন ঘরের বউ, যখন খুশি পেটাও মন্তব্য যা বললেন শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিরোধীদল যেন ঘরের বউ, যখন খুশি তখন পেটাও। পরিণতি ভালো হবে না।
বাংলাদেশে ও বিদেশে নজির রয়েছে। অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। যারা এই আইন বাতিল করেছে তাদেরও বিচার হবে। স্বাধীনতা অর্জনে আমরা যেমন রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হা/মলার প্রতিবাদে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি, কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিসিকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। গত ১৪ সাল ও ১৮ সালের নির্বাচন কত বড় জালিয়াতি সেটা আর বলার দরকার নেই।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তারা গণতন্ত্রের কথা বলেন। তবে মোমবাতি জ্বালানোর মতো কর্মসূচি তারা সহ্য করতে পারছে না।মোমবাতিও তারা নিভিয়ে দিতে চান। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি সংসদ ভেঙে দেন। সরকার ভেঙ্গে দিন। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার উৎখাত করা হবে।
যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার কথা (খালেদা জিয়া) তাকে ৪টি বছর ধরে বন্দী করে রেখেছেন। এর পরিণতি ভালো হবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মতো শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জ/ঘন্য হামলা প্রমাণ করে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। এদেশে আওয়ামী লীগের অধীনে আর কখনো নির্বাচন হবে না। জনগণ এটা হতে দেবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “আজ আমরা এমন পরিস্থিতিতে এসেছি যা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। জাতীয় নেতারা রক্তাক্ত হবেন, এটা সহ্য করার মতো নয়। নেতা-কর্মীদের চিলের মতো ছোঁ মেরে নিয়ে রাষ্ট্রীয় মদদে নির্যাতন করা হচ্ছে। এদেশকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, মৎস্যজীবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, দেশ বাঁচাও ও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন।
প্রসঙ্গত, সরকার যে ভাবে বিরোধী দলের উপর হামলা করছে সেটি ভাষায় প্রকাশ করা যায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আরোও বলেন, এ সরকার মুখে গনতন্ত্রের বলে আর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালনোর নির্দেশনা দেয়।