মোবাইলের সাথে প্রথম পরিচয়। এক বছর কথা বলার পর তা প্রেমে পরিণত হয়। সেই প্রেমের সম্পর্ককে প্রেমে পরিণত করতেই প্রেমিকার বাড়িতে আসেন তিনি। এসে দেখি প্রেমিকা অন্ধ। এরপর ভাগ্যের ওপর ভরসা করে ওই অন্ধ প্রেমিককে বিয়ে করেন দুই সন্তানের জননী রেবা আক্তার সুমি (২৬)।
বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ খবর শুনে এলাকার মানুষ বাকরুদ্ধ। রাসেলের (২৮) বাড়িতে ছুটে যাওয়া।
প্রেমিকা দৃষ্টিহীন। রাসেল উপজেলার চরশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের বাসিন্দা মো. প্রেমিকা সুমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।
রাসেলের বড় ভাই জামসেদ জানান, এ বিষয়ে তারা আগে থেকে কিছু জানতেন না। গত শনিবার হঠাৎ সুমি তাদের বাসায় আসে। রাসেল অন্ধ, সে কিছুই আয় করে না। সংসার চালানোর সামর্থ্য তার নেই। বিষয়টি জানার পর রাসেলকে বিয়ে করতে চায় সুমি। পরে দুজনকেই হাতিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানা পুলিশ সুমির বাড়িতে যোগাযোগ করলেও তার পরিবারের কেউ সাড়া দেয়নি। পরে বৃহস্পতিবার উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়।
সুমি জানান, তার দুই সন্তান রয়েছে। আগের স্বামী একজন ট্রাক চালক। দুই বছর আগে তার সঙ্গে ব্রেক আপ হয়। বিষয়টি জেনে রাসেল তাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। আমি জানতাম না যে রাসেল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। রাসেল আমাকে মোবাইলে জানায় তার চোখে সমস্যা আছে। কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন, কখনোই বলেনি। এখন আমি চলে গেছি, আমি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে তাকে আমার জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছি।
হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সুমির। এরপর গার্মেন্টসে চাকরি করেন। একপর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের কেউ আসেনি। পরে তাদের বিয়ে হয়।