বর্তমান সময়ে বিশ্ব জুড়ে অনলাইনে পন্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহকরা ঘরে বসেই বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে চাহিদা সম্পন্ন পন্য অর্ডার করতে পরছে। এবং খুব সহজেই গ্রাহকের কাছে তার কাঙ্খিত পন্য পৌছে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে প্রায় সময় নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে। সম্প্রতি এই অনলাইন মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে এমনি এক অভিযোগ তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি।
অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। কিন্তু তিনি খাবার পাননি। ফুড ডেলিভারি সংস্থার এমন আচরণে বেশ বিরক্ত বুম্বাদা। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছেন তিনি। সেই পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে মেনশন করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই তারকা। মূলত প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অ্যাড্রেস’ করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন প্রসেনজিৎ। চিঠির শুরুতে তিনি চলতি উৎসবের মওসুমের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারপর ওই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা তার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে সেটি জানিয়েছেন।
বুম্বাদা লেখেন, ৩ নভেম্বর তিনি ওই সংস্থায় খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই তিনি খেয়াল করেন তার অর্ডারটি ‘ডেলিভার্ড’ দেখাচ্ছে! অথচ খাবার তখনও তার কাছে এসে পৌঁছায়নি। তিনি দ্রুত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। প্রসেনজিৎ প্রিপেড অর্ডার দিয়েছিলেন। তার সমস্যা শুনে সংস্থাটি তার টাকা রিফান্ড করে দেয়। তার সঙ্গে যা হলো অন্য কারো সঙ্গেও তা ঘটতে পারে। প্রসেনজিৎ প্রশ্ন তোলেন, অতিথিদের জন্য খাবার অর্ডার করে যদি কেউ একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার ওপর নির্ভর করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত খাবার না পান, কেমন দাঁড়ায় বিষয়টা? কেউ যদি কোনোদিন অনলাইনে ডিনার অর্ডার করে শেষ পর্যন্ত তা না পান, কেমন হয় তা হলে? তারা কি ক্ষুধা সহ্য করেই বসে থাকবেন? এ ধরনের নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। প্রসেনজিৎ মনে করেছেন, বিষয়টি সবাইকে জানানো জরুরি। তাই তিনি টুইট করে তা জানিয়েছেন।
ওই টুইটের প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার আসলে কারো ওপর কোনো ক্ষোভ নেই। ঘটনার পরে ওই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা থেকেই খাবার আনিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কলকাতায় খাবার ও ওষুধের অনলাইন সংস্থাগুলো কাজ শুরুর সময় থেকেই সাগ্রহে গ্রহণ করেছেন। ব্যাপারটিকে খুবই প্রশংসনীয় দৃষ্টিতে দেখেন।
তবে তিনি বলতে চান, যখন কেউ অনলাইনে ওষুধ বা খাবারের অর্ডার দেন, তখন সেটা খুব জরুরি ভিত্তিতেই দেন। অর্থাৎ, তার হাতে বিকল্প থাকে না বলেই দেন। জামা-কাপড়ের ডেলিভারি নির্ধারিত সময়ের পরে এলেও হয়তো তত ক্ষতি নেই। কিন্তু খাবার বা ওষুধের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং তা সময়মত না এলে খুবই অসুবিধা পড়েন মানুষ। ফলে তিনি মনে করেন, যারা এই কাজটি করছেন তারা যেন একটু দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন অঙ্গনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এবং তিনি তার অভিনয় জগতের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এবং তার অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী এবং জনপ্রিয়তা।