পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধের পর এবার দেশজুড়ে মহাসড়কে ৭ দিনের জন্য মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তবে সেক্ষেত্রে সীমানা বেঁধে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। মোটর সাইকেল চালকেরা তাদের জেলার ভেতর চালাতে পারবেন তবে তার বাইরের জেলাতে মোটর সাইকেল চালিয়ে যেতে পারবেন না। এমন ধরনের ঘোষনা দেওয়ার পর এবার তার প্রতিবাদে নেমেছে বাইক চালকেরা।
মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধ করার কারণ হিসেবে বাস মালিকদের হিং”সাত্মক মনোভাবকে দায়ী করেছেন বাইকাররা। বাইকাররা যথাযথ আইন প্রয়োগ করে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধের পেছনে বাস মালিকদের হিংসাত্মক মনোভাব রয়েছে দাবি করে বাইকচালক মমিন তাজ বলেন, আমরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাড়ি ফেরার জন্য মহাসড়কে বাইক চালানোর অনুমতি চাই।’
মেজবাহউদ্দিন নামে একজন বাইক চালক বলেন, “মহাসড়কে বাইক থামানো নিরাপত্তার সমস্যার কার্যকর সমাধান নয়।” বরং মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিতে আইন প্রয়োগ করতে হবে। কারণ এই ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য বাস-ট্রেনের টিকিট পেতেই ঝামেলা। এছাড়া যাতায়াত করা কঠিন ও কষ্টের। ‘
মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক বাইক চালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
মোটরসাইকেল চালকদের দাবি তাদের এই ধরনের বিধি-নিষেধ দেওয়ার পেছেনে বাস মালিকদের হাত রয়েছে। তাদের ভাড়া বাড়বে এই কারনে তারা মোটর সাইকেলে চলাচল ঠেকাতে এই অপব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে সড়কে দূর্ঘটনা রোধে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।