জীবনকে বাজি রেখে দুর্নীতি দমন রোধে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নানা হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। এরপরও দেশ ও দেশের মানুষের জন্য দায়িত্বে অটুট রয়েছেন তারা। আর এবার এ বিষয়ে কথা বললেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমে।
সাইবার জগতের সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে পুলিশের সক্ষমতা ও উদ্যোগগুলো বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমি (ইন্টারপা) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিগরি সেবা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস 999, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, অনলাইন ইমিগ্রেশন, ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ই-ট্রাফিক সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে সব ধরনের সাইবার হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদার করার সময় এসেছে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ প্রধান আরও বলেন, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি কয়েক দশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবন এবং অপরাধ ও অপরাধীদের ধরণে পরিবর্তন এনেছে। অপরাধীরা নতুনভাবে অপরাধ করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বসেও তারা সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলার মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।
পুলিশ কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজড পুলিশিং, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, বিশেষজ্ঞ পুলিশদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি সময়ের দাবি। এই উদ্যোগটি বিশ্ব পুলিশ নেতাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে যোগ করেন ড. বেনজীর আহমেদ।
তবে যেকোনো ধরনের বিপদ মোকাবেলা করতে আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। আর চলমান এই ধারা অব্যাহত থাকবে আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।