বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আসিফ আকবর। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় গনমাধ্যমে আলোচনায় এসে থাকেন জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী। বড় ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আবারও নতুন করে তাকে নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। ছেলেদের কাবিননামার বিষয়টি প্রসঙ্গে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে যা বললেন এই শিল্পী।
বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। ১০ জুলাই, ১৯৯২ তারিখে, তিনি ১৯ বছর বয়সে সালমা আসিফ মিতুকে বিয়ে করেন। সম্প্রতি তিনি তার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণ’র বিয়ে সম্পন্ন করেন।
আসিফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে তার নিজস্ব মনোভাব প্রকাশ করে থাকেন। গায়ক এমনকি তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন মতামত তার ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেন। এবার কাবিননামায় দাবিকৃত টাকা নিয়ে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি।
আসিফের স্ট্যাটাস হুবাহু দেওয়া হলো-
আমার যৌ/বনের জাগরণ এসেছিল আমার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে। তরুণ প্রজন্ম থেকেও প্রশ্ন এসেছে। আমাদের সমাজে এমনিতেই অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ছেলে রোজগার করে নাকি প্রথম প্রশ্ন! পারিবারিক অবস্থাও একটি কারণ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েও একই ফালতু প্রশ্নে তার মতামত জড়িয়ে থাকে। সমাজের একটি অপ্রয়োজনীয় অংশ হিসেবে জীবন চলে এখানে। শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে আদৌ কবুল হয় কিনা জানি না। কিন্তু কাবিননামার ক্যারিকেচারে উসূলের চাপ পাত্র নামের বিবাহযোগ্য ছেলেটিকে নিরাশ করবেই। জিততে পারলে শুভকামনা। সমস্যা হ/লে সবাই জিততে পারে না।
ইদানীং কাবিননামার সময় নিরাপত্তা বাবদ টাকা চাওয়া হয় সেটা এক প্রকার ব্ল্যাকমেইলিং। একজন বিবাহযোগ্য যুবক পুরুষ হওয়ার আগে এই চাপে বৃদ্ধ হয়। ভালোবাসার বন্ধনে থাকার ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবশ্যই কিছুটা অবান্তর। বিবাহ মানে অনন্ত জীবন। শর্ত থাকলে বন্ধনের প্রকৃত সংযোগ বিলম্বিত হবে। এটা অন্যায়। রাষ্ট্রের উচিত বিয়ের ঋণকে সহজ সুদের কিস্তিতে রূপান্তর করা। পরিবারের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নারী নি/র্যাতন শিরোনামে আরেকটি সমস্যা আছে। কোনো কারণে ঝামেলা হলে ছেলেকে ফাঁসানোর লাইন প্রায়ই আদালতে যায়, জামিন ছাড়াই ভয়ানক মা/মলা।
অপরাধের প্রমাণ বিবেচনার আগেই একটি ছেলে অসহায় হয়ে পড়ে। সব ছেলেই ফেরেশতা হবে না, মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই। সমাজের অসম চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করতে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে দীর্ঘ বিবাহিত জীবন বজায় রাখা প্রতিটি পুরুষের জন্য এক ধরণের মানসিক নি/র্যাতন। খরপোশ কিং/বা মেয়েদের লাইফের সি/কিউরিটি নিশ্চিত ক/রতে গিয়ে এদেশে আ/সলে পুরুষ নি/র্যাতনের অটো শাস্তি/যজ্ঞ চলছে।
নারী-পুরুষের বৈবাহিক সম্প্রীতি গুরুত্বপূর্ণ। যে ছেলে বিয়ে করতে চায় তাকে বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যা না দিয়ে স্বস্তি দেওয়া দরকার। কিছু ডি/ফল্টভাবে পুরুষ ছাড়া সবাই সং/সার করে বাবা হতে চায়। মনকে কোমল করুন, ফুটে উঠুক অনাগত সুন্দর জীবনের ফুল। আমি নিশ্চিত, বিয়ের মাধ্যমে নিরাপদ সম্পর্ক তৈরি হয়। লেনদেন কেবল ঝামেলা তৈরি করে, অনন্ত ভা/লোবাসার জায়গায় হি/সেব-নিকেশ ঢু/কে যায়। আর কোন চা/প সৃষ্টি নয়, ভালবাসা খুঁজে নিন। আমার পরিবারের সর্বোচ্চ নি/য়ন্ত্রক বেগম সালমা আসিফ নিজেই এক অনন্য উদাহরণ। আমার পুরো জীবনের অংশ এমন কারো সাথে লেনদেনের আচরণ করা খুব বেমানান।
ভালবাসা অফুরন্ত।
প্রসঙ্গত, বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামা শর্ত রাখা হয়ে সেটি আসলে বিয়ে করার ক্ষেত্রে যে কোনো পুরুষের জন্য বড় ধরনের বাধা বলে মন্তব্য করে আলোচিত এই শিল্পী। তিনি বলেন, বিষয়টি একটি সন্দুর সমাধান হওয়া উচিত।