বাংলাদেশের ফুটবলের বাঘিনীরা ফিরেছে ট্রফি নিয়ে দেশে। আর এই কারনে সারা দেশে চলছে তুমুল আলোচনা। একের পর এক সব বিতর্কিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তাদের সাথে। আর এই কারনে অনেক লেখা লেখি হচ্ছে তাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে। এবার এ নিয়ে একটি লেখনী লিখেছেন দেশের বিষয়টি ব্যক্তিত্ব ড.আব্দুন নূর তুষার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু :-
জিতবার পরে আবেগে কাইন্দালাইসে এমন ভাব কইরা শুরু করলো ছাদখোলা বাসের কাহিনী।
ছাদ কাটতেসে।
ছাদ খুলতেসে।
ছাদ নাই।
সব হেডলাইন শুরু করসে ছাদখোলা দিয়া।
আমি তখনি জানি ছাদ খুলতেসে মেয়েদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেরা শিয়াল মারার জন্য।
নিজেরা নিজেদের গলায় মালা দিছে।
সিঁড়িতে খেলোয়াড়দের পেছনে দিয়া ছবি। পুলিশ দিয়া ভরা। আর কিছু বুইড়া ঝান্ডু সামনে।
বাসের উপরে টিমের চেয়ে ভাম বেশি।
আসার পথে মাথা ফাটানো ঋতুপর্ণার।
তারপর চেয়ার থেকে কোচ আর ক্যাপ্টেনকে তুলে দিয়া নিজেরা বসা।
কিছু ভগলু যথারীতি চামচামিতে ব্যস্ত।
চিন্তা করেন তো যদি দুর্ঘটনা আরো বড় হইতো?
চোখে লাগতো? ধারালো কিছু হইতো?
দোতলা বাসের ছাদে দাড়াইলে মাথার সাথে ওভারব্রিজগুলির ক্লিয়ারেন্স থাকে কয়েক ইঞ্চি। নরমালি ছাদওয়ালা দোতলা বাসের দোতলায় ভালোভাবে দাড়ানো যায় না।
তারা রাস্তাটা উপরের দিকে পরিস্কার করে নাই। কারণ ব্যানার ফ্যানারে সবতো তাদের নিজেদের ছবি।
তারা এই বাসের কাহিনী নিয়া মাতামাতি করসে কারণ তারা চাইসে তাদের অবহেলা নিয়া কথা না হোক।
তারা যে মাত্র বারো হাজার টাকা বেতন দেয় সেটা কেউ না বলুক।
কয়েকজন খেলোয়াড়ের যে বাড়ী নাই, বাড়ীর ছাদ নাই এই আলাপ না হোক।
টিম বাড়ীতে ফেরার আগেই বিদেশি কোচের গল্প।
নিজে না গিয়া চাপ আর ফোকাসের গল্প।
কেন?
কারণ ছোটন বড় হয়া গেলে মূশকিল। ছোটনরে কত বেতন দেয়?
বিদেশীরে কত দেবে?
টাকার অভাবের গল্প শুনাইসে। টাকার জন্য নাকি টীমকে সুবিধা দিতে পারে না। বিদেশে পাঠাইতে পারে না। সত্তর আশি লাখ টাকা লাগে।
তাইলে বিদেশী কি দিয়া আনবে?
ছোটনরে বরং কোচিং এ ডিগ্রী করাক। উইনিং কোচরে কেউ বদলায়?
এই বাফুফের দুর্নীতি নিয়া ফিফা কথা বলসে।
ফুটবলের টাকা দিয়া ভবন বানাইসে। ডেভলপমেন্ট নাই। র্যাংকিং নামসে আর নামসে।
পোলা দলের বিদেশি কোচ পলায়া গেসিলো। মনে নাই? তারে টাকা দিসে। কেমনে?
দিনশেষে চেয়ার ভইরা বইসা গেসে ক্রেডিট নিতে।
টীম হারলে হারার দায়িত্ব নিতো?
কলসিন্দুরের মেয়েগুলিকে সাধারন বাসে বাড়ী পাঠাইসিলো।
আয়োডিনের অভাবে জাতি সব ভুইলা যায়।
এগুলা দিনের পর দিন যারা করসে তারা এখন চেয়ার আকড়ায়া রাখসে কারণ চেয়ার ছাড়লেই যদি গদি লইড়া যায়?
অন্যের পাওনা ক্রেডিট চুরি ডাকাতি করাই এদের কাজ।
শুধু কি ক্রেডিট চুরি?
‘বিমান বন্দর থেকে সাফজয়ী নারী দলের সদস্যা কৃষ্ণা নারী সরকার ও ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার এর ব্যাগ থেকে নগদ অর্থ চুরি’
আইয়ামে চুরালিয়াত কি এমনি বলি?
এইসব ডেট এক্সপায়ার্ড দিয়া আর কতো?
এগুলা বুঝি দেখেই বলি।
কারণ এই দেশ আর বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি।
উনি বলসিলেন উনি একজনেরও ন্যায্য কথা মাইনা নিবেন।
তাইলে ন্যায্য কথা বলবো না কেন?
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাইতো ন্যায্য কথা বলা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ফুটবল একটা সময়ে ছিল বেশ অবহেলিত। বিশেষ করে দেশে পুরুষের ফুটবল ছিল না বললেই চলে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে দেশের নারী ফূটবলাররা। তবে বাস্তবে দেখা যায় এখনো কেমন যেন ফিকেই হয়ে আছে তারা।