প্রেমের জেরে মানুষ নানা ধরনের কান্ড ঘটিয়ে থাকে । তবে এবারে ঘটনাটি একেবারেই ভিন্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় ওই যুবক ও যুবতির। এরপর দীর্ঘদিন তারা একে অপরের সাথে কথা বলে এবং একপর্যায়ে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ করেই মেয়েটিকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সেই যুবক। তবে পরিবারের দাবি তার মেয়েকে অপহরন করা হয়েছে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক নৃতাত্ত্বিক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর মেয়েটির মুখের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে মেয়েটির নাম উল্লেখ করে বলা হয়, খোঁজ নিয়ে লাভ নেই, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর জন্য দায়ী তার বাবা-মা।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানান, গত রোববার সকাল ১০টার দিকে কেউ টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই স্কুলছাত্রীকে স্কুলে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতার ফেসবুক আইডিতে ব্যান্ডেজ বাঁধা মুখের ছবি পোস্ট করা হয়। কিছুক্ষণ পর ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া হাইস্কুল থেকে ২০২২ সালে ওই স্কুলছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। গত রোববার সকাল ১০টার দিকে এক ব্যক্তি মেয়েটির মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে তাকে স্কুলে পাঠাতে বলে। সংসদ সদস্যের তহবিল থেকে কিছু শিক্ষার্থীকে টাকা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন এলো, সে যেন টাকা নিতে স্কুলে ছুটে গেছে। পরে তাকে স্কুলে পাঠানো হয়। এরপর মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা নালিতাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেছেন।
নির্যাতিতা তরুণীর ভাই গাজীপুরের গার্মেন্টস কর্মী বলেন, কিছুদিন আগে গাজীপুরে বারী মেহেদী নামে এক ব্যক্তি আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে বলে- তোমার বোনের সাথে আমার ফেসবুকে দেখা হয়েছে। তারপর আমরা ঘনিষ্ঠ হয়েছি। আমার বোন আমার মায়ের সাথে অনেকক্ষন কথা বলে।এখন শুনলাম তোমার বোনের অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে। মেয়েটির ভাই বলল, ‘আমার বোনকে সেদিন স্কুলে ডাকা হয়েছিল যে নম্বর থেকে আমার মাকে ফোন করা হয়েছিল। এর পর আমার বোনকে অপহরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাছির আহমেদ বাদল বলেন, আমরা মেয়েটির মুখোশ পরা ছবি পেয়েছি। সবকিছু বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হয়।
মেয়েটিকে অপহরণের পর এই পর্যন্ত তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারছে না আসলে সেই মেয়েটিকে নিথর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই যুবক-যুবতি অনুসন্ধানে এখনো পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।