কুমিল্লার সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন চলছিল বেশ প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা সারাদিন ব্যস্ত ছিল তাদের কর্মে। ভোট চাওয়ার জন্য তারা ভোটারদের কাছে যেয়ে কথা বলেন। এইবার কুসিক নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। তবে এখন অপেক্ষা শুধু বিজয়ের। সম্প্রতি জানা গেল কুসিকের একজন মেয়র প্রার্থী রিফাত বলেছেন ভোট কেন্দ্র দখল করা লাগবেনা, নৌকা এমনিতেই জিতবে।
কুমিল্লার নওকার মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বিএনপি ও স্বচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন।
আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী ভোটকেন্দ্র দখল করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন রিফাত। নৌকার জয় হবেই।
ভোটের আগের দিন দুপুরে কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। একই সঙ্গে বিএনপি ও স্বচ্ছসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত দুই মেয়র প্রার্থী কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মনিরুল হক সাক্কু ব্যর্থ হয়েছেন। নগরবাসীর কাছে গেলাম। তারা আমাকে গ্রহণ করেছে। আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
সাক্কু ও কায়সারের কথা উল্লেখ করে রিফাত বলেন, ওই দুই ব্যক্তি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সংসদ সদস্য বাহারউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, তিনি এখানকার ভোটার। সংসদ সদস্য হলেও তিনি কোনো প্রচারণায় অংশ নেননি। নির্বাচন কমিশন নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়াতে এটা করছে।
স্বাধীনতার পর এই প্রথম ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন নির্বাচনে আসা রিফাত। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার পর তিনি প্রতিবাদ করতে গিয়ে একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি পালিয়ে বিদেশে চলে যান।
পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে ১৯৮০ সালে কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি হন। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে বহিরঙ্গন ক্রীড়া ও জিম সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি জামায়াতে ইসলামীর হামলার শিকার হন।
১৯৯৬ সালে রিফাত কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান।
এছাড়া প্রায় এক যুগ ধরে তিনি কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং দুবার কুমিল্লা ক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিজের ভোট নিজে দেবে, যাকে খুশি তাকে দিবে। সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারাটাই স্বাধীন দেশের মানুষের স্বার্থকতা। ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট গ্রহণ করা মানে সেখানে নিশ্চই কারচুপি করা হচ্ছে ভোটের। আর এমনটা করে জয় লাভ করা গেলেও পাওয়া যায় না মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।