এ সময় মেয়র তাপসের পেছন পেছন ব্যাগ নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের। পরে তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে তার ব্যাগে কাপড় ও দুটি ছুরি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন আরও চারজন। তাদের মধ্যে দুজন নারীও ছিলেন। পরে পাঁচজনকে মা’রধর করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতদের একজন আসিফ ইকবাল ওরফে রিপন। তিনি ঢাকা আইন জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। বাকিরা তার কর্মী।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বক্তব্য শেষে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি পেছন পেছন একটি ব্যাগ হাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সন্দেহ হলে তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় তার ব্যাগে সাদা কাপড় ও দুটি ছু”রি পাওয়া যায়। বিক্ষুব্ধ সংগঠকের কর্মীরা তাদের মারধর করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল বলেন, ওই ব্যক্তির বক্তব্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটতে এখানে এসেছিলেন। তার সাথে একটি বড় ছু”রি ছিল। তবে ছু”রি আনার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নুর মোহাম্মদ যিনি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি আজ সকালে বলেন, ওই ব্যক্তিকে যে চারজন উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি ব্যাগ বহন করছিলেন তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তার দেওয়া তথ্য ছাড়া কোনো অসামঞ্জস্য তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।