কাতারে আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এখন আর্জেন্টিনার দখলে। এই বিশ্বকাপ জয়ের পেছনের নায়ক হলেন লিওনেল মেসি। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা মেসির নৈপূনয়ে বিশ্বকাপে জয় পেল। লিওনেল মেসি শুধু মাঠেই সেরা নন, তিনি উদারতায়ও সেরাদের মধ্যে একজন। তার আয়ের একটি বড় অংশ তিনি দান করে থাকেন মানুষের কল্যানে।
আর্জেন্টিনার জয়ের মূল স্থপতি লিওনেল মেসির উপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ পাঠাগারও তৈরি করা হচ্ছে। এই লাইব্রেরি সূত্রে জানা গেছে, মেসি ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ৩০০ কোটি রুপি আয় করেন। ভারতীয় মুদ্রায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩,৩০০ কোটি টাকা। মেসির বাড়িটির মূল্য ৫৮ কোটি টাকা। গ্যারেজে দশটি গাড়ি ছাড়াও মেসির একটি ১৬ আসনের বিমানও রয়েছে। এই বিমানটিতে দুটি বিশাল বেডরুম, একটি রান্নাঘর এবং দুটি টয়লেট রয়েছে।
কিন্তু, আপনি কি জানেন যে ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে বিশ্বের সেরা ৫০ জন দাতাদের একজন মেসি? না জানলে জেনে নিন। ইউনেস্কোর দাতব্য ট্রাস্টের ৪৮ শতাংশ মেসির অনুদান দ্বারা অর্থায়ন করা হয়। মেসির টাকায় ১৭৯টি দেশে ৯ হাজার ৮৪৭টি স্কুল চলছে।
মেসি এক কোটি ছয় লাখ ছেলে-মেয়ের স্কুলের খরচ বহন করেন। দেড় লাখ পথশি’শুর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তিনি ভারতে বারসার যুব উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়মিত অনুদান দেন।
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার রাশিয়া বিশ্বকাপে যাওয়ার ব্যয় জন্য মেসি একাই ব্যয় করেছিলেন। তিনি বিশ্বকাপ থেকে তার বেশিরভাগ ম্যাচ ফি আর্জেন্টিনার বিভিন্ন হাসপাতালে দান করেছিলেন। মেসি এতটাই শিশুসুলভ যে তিনি ইসরায়েলের শি”শু হ”/ত্যাকারীদের সম্পর্কে বলেছেন- আমি তাদের ঘৃণা করি। ইনিই হলেন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিও মেসি। মাঠের বাইরেও তিনি অনন্য।
তার প্রশংসা শুধু খেলার মাধ্যমে মানুষেরা করেন না, তিনি তার দানের জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন। তার স্ত্রীও তার জন্য গর্বিত এমনটি জানান তার স্ত্রীও। নিওলেন মেসি আরও বেশ কয়েকটি কল্যানমূলক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।