বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। তার আরো একটি পরিচয় হলো- তিনি ঢাকাই সিনেমার খ্যাতিমান ও কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীরের মেয়ে। একের পর এক সাড়া জাগানো গান উপহার দিয়ে কোটি কোটি ভক্তের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে আঁখি আলমগীরের মেয়ে আর্জেন্টিনার অন্ধ সমর্থক। আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনার পরাজয় নিশ্চিত, তখন গায়িকা তার মেয়ে আরিয়াকে ডেকে খোঁচা মারেন। কিন্তু মেয়ের সরল স্বীকারোক্তি শুনে সে নিজেই পাগল হয়ে গেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার কথা জানিয়েছেন আঁখি আলমগীর।
তার স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-
সৌদি আরব, আর্জেন্টিনার খেলার সমাচার। খেলার সময় কিশোরের স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ে ছিলাম। আমরা সবাই খেলা দেখতে বসলাম। দুপুরে ভাত খেলাম কিশোর বউয়ের রান্না করা সুস্বাদু হাঁসের মাংস, বকুল ভাইয়ের আনা ইলিশ দিয়ে।
প্রথম গোলটি করে আর্জেন্টিনা। মহা হৈচৈ। এটাই হওয়ার ছিল। এরপর কী যে হলো! সৌদি আরব একটি গোল করেছে, আঁখি আলমগীরের মেয়ে আর্জেন্টিনার অন্ধ সমর্থক। আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনার পরাজয় নিশ্চিত, তখন গায়িকা তার মেয়ে আরিয়াকে ডেকে ঘুষি মারেন। কিন্তু মেয়ের সরল স্বীকারোক্তি শুনে সে নিজেই পাগল হয়ে গেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার কথা জানিয়েছেন আঁখি আলমগীর।
তার স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-
সৌদি আরব, আর্জেন্টিনার খেলার খবর। খেলার সময় কিশোরের স্টুডিওতে রেকর্ডিং করছিলাম। আমরা সবাই খেলা দেখতে বসলাম। দুপুরে ভাত খেলাম কিশোর বউয়ের রান্না করা সুস্বাদু হাঁসের মাংস, বকুল ভাইয়ের আনা ইলিশ।
প্রথম গোলটি করে আর্জেন্টিনা। মহা হৈচৈ। এই ঘটতে ছিল. এরপর কী হলো! সৌদি আরব একটি গোল করেছে, আমরা সবাই হাসির সাথে তাদের তুমুল যুদ্ধ দেখেছি। দারুণ তাদের কৌশল। এরপর আরেকটি গোল, তখন আমরা বেশ হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আরেকটি গোল, তখন আমরা বেশ হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
হঠাৎ মনে হলো, আমার মেয়ে আরিয়া ফ্রেন্ডদের নিয়ে খেলা দেখছে। সে আর্জেন্টিনার ব্লাইন্ড সাপোর্টার, ওকে একটু জ্বালাই। এটা আমরা মা-মেয়েরা খুব করি। দুষ্টামি, পচানো। কল ধরতেই খোঁচা মেরে বললাম, কি মা ঠিক আছো তো? শরীর খারাপ না ভালো? তোমার দল তো হারতেসে, কিছু খাবার আনব, নাকি কান্নাকাটি চলতেছে?
ওমা, মেয়ে আমাকে খুব সহজভাবে বলে, হ্যাঁ আম্মু খুব বিরক্ত। আমি একদম ঠিক নাই, কান্না আসতেছে। আমার দল হেরেছে, ভালো খেলতে পারেনি, খাওয়া লাগবে না। তুমি কাজ শেষ করে আসো।
আমি চুপ মেরে গেলাম। তার সরল স্বীকারোক্তি এবং কোন রিঅ্যাকশান না পেয়ে, আমি উল্টো গোল খেলাম আরকি। আমি বোকামি করলাম নাকি এই দুই দিনের মেয়ে আমার সঙ্গে চালাকি করল, এটাই বুঝলাম না।
একজন সংগীতশিল্পীর পাশাপাশি বড় পর্দার অভিনেত্রী হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন আঁখি আলমগীর। ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। এমনকি এ জন্য পুরস্কারও অর্জন করে নেন তিনি।