বাড়িতে কেউ না থাকার বিষয়টি টের পেয়ে রাতের আঁধারে ঘরে প্রবেশ করে কিশোরীর সর্বনাশ করার অভিযোগ উঠেছে মো. সজল মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই রীতিমতো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই যুবক। সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউপির মাজুখান গ্রামে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় সজল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তোভুগী ওই কিশোরীর বাবা।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান।
কালীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ওই কিশোরীর বাবা ও ভাই রাতে মাছ ধরতে যায়। ঘটনার দিন মেয়েটির মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সজল রাতে মেয়েটির বাড়িতে একা ঢুকে এ ঘটনা ঘটায়। এ সময় বিলে মাছ ধরতে যাওয়া মেয়েটির ভাই বাড়ি ফিরে তার বোনকে ডাকেন। একপর্যায়ে বোনের কোনো সাড়া না পেয়ে তার ভাই দরজা খুলে দিলে সজল পালিয়ে যায়। পরে ভাই বোনকে উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা বলেন, আমি গরিব মানুষ। এখন বর্ষার পানি কমছে। তাই রাতে বিলে গিয়ে মাছ শিকার করি। ঘটনার দিন আমি এবং আমার ছেলে দুজনেই মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। এদিকে তার মা বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু মেয়েটি ঘরে একা থাকায় সজল তার সর্বনাশ করে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যকে এসআই আরো জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।