Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / National / মেট্রোরেলে নারী কণ্ঠের সেই অরিন ভাসছেন প্রশংসায়

মেট্রোরেলে নারী কণ্ঠের সেই অরিন ভাসছেন প্রশংসায়

সর্বস্তরের মানুষ এখন মেট্রোরেলের ছোঁয়া ও সুবিধা পাচ্ছে দুর্ভোগ কমানোর স্বপ্ন। এই মেট্রো রেলের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। তবে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বিভিন্ন দিক দিয়ে একজন মহিলার কণ্ঠস্বর বের হয়। জনমনে কৌতূহলের কমতি নেই। অনেকেই ভেবেছেন হয়তো এটা মেশিন জেনারেটেড ভয়েস।

জনকণ্ঠ ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই কণ্ঠ নিয়ে কৌতূহল মেটালেন কিমিয়া অরিন। এ সময় তিনি তার কণ্ঠযাত্রার বিভিন্ন দিক এবং মেট্রোরেলে তার কণ্ঠের চুলচেরা বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। জনকণ্ঠকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারাদেশে প্রশংসিত হচ্ছেন অরিন।

কিমিয়া বলেন, “আমি বাংলাদেশে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছি। এছাড়া আমি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে ইংরেজি নিউজরিডার হিসেবে কাজ করেছি। ৯ বছর কাজ করার পর আমি কানাডায় মাস্টার্স করতে আসি। আমার স্বামী ও ছোটকে নিয়ে আমার পরিবার। ভাই আমার স্বামী একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মালিক এবং ছোট ভাই একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।’

কণ্ঠস্বর নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও আমার বন্ধুরা আমাকে ‘স্ক্রিন শট’ পাঠাতেন এটা দেখতে আসলেই মানুষের ভয়েস নাকি মেশিন জেনারেটেড ভয়েস। শুরুতে আমি যখন সবাইকে বলেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করেনি এটা আমার কণ্ঠস্বর। এমনকি আমার কাছের লোকজনও আমার কণ্ঠ চিনতে পারেনি। যে ব্যক্তি মেট্রোরেলে ভিডিও আপলোড করতেন, আমি সেই লিংক দিয়ে বলতাম, এটা আমি, আমি এই কণ্ঠ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, “অনেকে মজা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আপনি কি সত্যিই আছেন, নাকি আপনি কম্পিউটারে করেন? শুরুতে যখন মেট্রোরেলে আমার কন্ঠস্বর শুনলাম, আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। সবাই আমার কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। দিক, খুব ভালো লাগছে।দেশের বাইরে থাকলেও ভালো লাগে যখন মনে পড়ে দেশের মানুষ আমার কন্ঠের জন্য অপেক্ষা করছে।আমি এত দূর থেকে দেশের সেবা করছি,মনে পড়ে ভালো লাগে। এটা

কণ্ঠ দেওয়ার গল্প হিসেবে কিমিয়া বলেন, “প্রথম দিকে একজন বিটিভির প্রতিবেদক আমাকে বলেছিলেন, মেট্রোরেলকে ভয়েস দিতে চাইলে সিভি দিতে পারেন। আমি তাকে সিভি দিই। আমার ইউটিউব থেকে ভিডিওগুলোও কাজের নমুনা হিসেবে দেওয়া আছে। শুরুতে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন কাজ করত।এটা ছিল করোনার মাঝামাঝি।অনেকবার ভয়েস দেওয়ার পর নানা বিশ্লেষণের পর অবশেষে আমার ভয়েস সিলেক্ট করা হল।

কিমিয়া ওরিন বলেন, ‘প্রথমবার প্ল্যাটফর্মে ভয়েস নেওয়ার পর ট্রেনের জন্য ভয়েসের কাজ করেছি। প্ল্যাটফর্মের ভয়েসের জন্য অনেক কষ্ট নেওয়া হয়েছে কিন্তু ট্রেনের জন্য নয়। এবং শেষ পর্যন্ত আমি এলিভেটেড এবং লিফটের জন্য কাজ করেছি।’

About Zahid Hasan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *