দিল্লি মেট্রোতে যুগলদের ঘনিষ্ঠ হওয়া নিয়ে ভারতে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি, মেট্রো রেলের ভিতরে অন্য যাত্রীদের সামনে দুই তরুণ-তরুণীর চুমু খাওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির আনন্দ বিহার মেট্রো স্টেশনের কাছে। তবে এর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, আনন্দ বিহারের আরও একটি আবেগী ভিডিও। সম্ভবত তারা ভুলে গেছে – ভালবাসা অন্ধ, মানুষ নয়।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অনেকেই মেট্রো কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যরা তাদের সম্মতি ছাড়াই ভিডিওটি নিয়ে ভাইরাল করার জন্য সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, এটাই যুগলের অপরিণত মানসিকতার পরিচয়। তারা চাইলেই অবাঞ্ছিত মনোযোগ এড়াতে পারে। এবং এটি নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলা অপ্রয়োজনীয়।
আরেকজন লিখেছেন, দিল্লিতে কেন নিয়মিত হয়ে উঠছে? খুব খারাপ লাগছে।
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, “তারা যদি অন্যকে বিরক্ত না করে নিজেরাই চুমু খায়, তাহলে সমস্যা কী?” মনে হয় অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা ছাড়া মানুষের আর কোনো কাজ নেই।
দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন (ডিএমআরসি) অবশ্য ট্রেনের ভেতর যাত্রীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে না জড়াতে বারবার অনুরোধ জানিয়েছে।
যুগলদের অন্তরঙ্গ হওয়ার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এ বছরের মে মাসে ডিএমআরসি জানিয়েছিল, তারা স্টেশন ও ট্রেনের ভেতর সাদা পোশাকে নিরাপত্তাকর্মীদের টহল জোরদার করেছে। কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছে যে কেউ এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তা অবিলম্বে নিকটবর্তী কর্মীদের জানাতে।
কয়েক মাস আগে মেট্রোরেল কোচে মেঝেতে বসে থাকা এক যুগলের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
সমালোচনার জবাবে, ডিএসআরসি একটি বিবৃতিতে বলেছে যে যাত্রীদের এমন কোনও অশোভন কাজ করা উচিত নয় যা অন্যদের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এই ধরনের কার্যকলাপ ডিএসআরসি এর অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ আইনের ৫৯ ধারার অধীনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।