গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলাধীন একটি এলাকায় স্বামীকে ধারা”লো অ”স্ত্র দিয়ে কু”পিয়ে নিথর করার অভিযোগ উঠেছে এক পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতের দিকে ঐ উপজেলাধীন কুশলা নামক ইউনিয়ন এলাকার ধোড়ার নামক গ্রামে এই মর্মা/”ন্তিক ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর একাধিক পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রয়াত যুবকের পিতা।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে কু”পিয়ে খু/’ন করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামে এই মর্মা”ন্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধোড়ার গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৪০) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করে আসছিল। এ সময় ফরিদ শেখের স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। রোববার দিবাগত রাতে ফরিদ শেখের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে তাকে র’ক্তা/ক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ফরিদ শেখ প্রয়াত হন।
ফরিদ শেখের বাবা ইয়ার আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে আমার পুত্রবধূ মুক্তা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বেগম বিভিন্ন সময় আমার ছেলেকে মে”রে ফেলার হুমকি দিত। এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় জিডিও করেছে। আমার ধারণা মুক্তা বেগম আমার ছেলেকে কু”পিয়ে চিরতরে নিথর করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, মুক্তা বেগমের অত্যা’/চারে আমরা ফরিদের বাড়িতে থাকতে পারিনি। ফরিদের বাড়ির পাশেই থাকি। ঘটনার রাতে ফরিদের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে মুক্তা বেগমকে পাশে দাঁড়াতে দেখি।
এ ঘটনার পর মুক্তা বেগমের সঙ্গে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মোঃ জিল্লুর রহমান যিনি কোটালীপাড়া থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি বলেন, কে বা কারা ফরিদ শেখকে হ/’ত্যা করেছে সে বিষয়ে কোন কিছু জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে। শীঘ্রই এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন। তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যক্তিকে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।