সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অন্যতম হোতা সেই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা প্রধান মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে রীতিমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু এখনো কেন গ্রেপ্তার করা গেল না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
আর এই আলোকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়া কৌশলে লুকিয়ে আছেন, তাই ধরা যাচ্ছে না।
দুই জঙ্গি ছিনিয়ে ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। খুব শিগগিরই পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা ক্লাবে দ্বিতীয় শেখ কামাল সিআইআরসি স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় এখনো কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আসেনি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
তিনি বলেন, আদালত থেকে দুই জঙ্গির ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সহযোগিতাকারীদের মধ্যে একজন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জামিনে বেরিয়েছিলেন। আশা করছি, বাকি জঙ্গিদের অবস্থান চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।
আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের নাম গত নয় বছর ধরে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। আপনি কি মনে করেন এটা আইন প্রয়োগকারীর ব্যর্থতা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে ধরা হচ্ছে না এটা ঠিক নয়। সে আড়ালে লুকিয়ে আছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা তার কৌশল। আমাদের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী যে আধুনিক সরঞ্জাম বা কৌশল ব্যবহার করে জঙ্গিদের কাছে সেই একই আধুনিক সরঞ্জাম বা কৌশল রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগে। তবে আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এখন পর্যন্ত জিয়ার অবস্থান কি শনাক্ত করা গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ’ঙ্গি’ মেজর জিয়া প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তার অবস্থান চিহ্নিত করছি, আবার তিনি পরিবর্তন করে ফেলেছেন। তবে আশা করছি, খুব শিগগিরই ধরা সম্ভব হবে।
এদিকে এর আগে আদালত প্রাঙ্গন থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অংশ নেয়া একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামিদের পালিয়ে যাওয়া জন্য অনেক টাকাও নিয়ে এসেছিলেন তিনি।