প্রবাসে যারা রয়েছেন তাদের বিভিন্ন সময় নানা কষ্টের কথা আমরা শুনতে পাই এবং অনেক অনুধাবন করেও থাকেন। এবার মালেশিয়াতে এমনই একটি দুঃখজনক অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছে এক বাংলাদেশী পরিবার। দুই সপ্তাহ আগে মেক্সিকোতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কানাডার রিয়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল মিয়া (২২)। সেখানে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ রাখা হয় একটি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের ফি মেটাতে না পারায় তার মরদেহ নিতে পারছে না মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত তার পরিবার। মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো অর্থও নেই তাদের হাতে।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ ফয়সাল মিয়া মালয়েশিয়ায় বড় হয়েছেন। পরে কানাডার রিয়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি।
ছুটি কাটাতে ফয়সাল সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে মেক্সিকোর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। সাঁতার জানাতেন না তিনি। ডুবে যাওয়ার পর লাইফগার্ড তাকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তিনি মারা গেছেন।
তার মরদেহ হাসপাতালেই রয়ে যায়। ফি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত জন্য মরদেহ হস্তান্তর করতে রাজি হচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে হাসপাতালের ফি ৫ হাজার মার্কিন ডলার এবং অ্যাম্বুলেন্স ফি ৭৫০ মার্কিন ডলার।
ফয়সালের পরিবারকে আরও জানানো হয়েছে, মরদেহ দাফনের জন্য বাংলাদেশে নিয়ে যেতে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার দরকার হবে। এ অবস্থায় অর্থ জোগাড় করতে না পেরে কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না ৪ সদস্যের এই পরিবারটি।
ফয়সালের চাচাতো ভাই নুর আল মাহদি জানিয়েছেন, ফয়সালের বাবা একজন ভূমি জরিপকারী এবং তাদের পরিবার ১৯৯৪ সাল থেকে মালয়েশিয়ায়।
ফয়সালের বন্ধুরা এখন তার মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, সাতার না জেনে অনেকেই সমুদ্রে নেমে নানা বিপদের সম্মুখ্খিন হয়ে থাকে এবং তাদের মধ্যে আওনেকেই দেখা যায় অথৌ সাগরে ডুবে না ফেরার দেশে চলে যান। মালশিয়ায় এক বাংলাদেশি পরিবারের সন্তানও মেক্সিকোতে গিয়ে এই অবস্থার সম্মুক্খিন হয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে।