নিখোঁজের একদিন পরেই আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে ঢাকা গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিজেদের প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই দম্পতিকে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
এদিকে খাবারে বিষ মিশিয়ে ওই দম্পতিকে ”হ”ত্যা” করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদা আক্তার জলির বোন তাহমিদা আক্তার ইমা এ দাবি করেন।
উত্তরার নস্ট্রাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার শ্যালক ও বোনকে বিষপান করে ”হ”ত্যা” করা হয়েছে। দুলাভাই বাইরের কিছু খায়নি। অতি আপনজনের কেউ তাকে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়েছে।’
নিহতরা হলেন- শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রী আমজাদ আলী, সরকার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা আক্তার জলি।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার বিকেলে জিয়াউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে স্কুল থেকে বের হন। সন্ধ্যায় শেষ কথা হয় ছেলে তৌসিফুর রহমান মেরাজের সঙ্গে। এরপর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। পরে গাছা থানায় তাদের নিখোঁজের খবর দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে গাছা থানার বগার্টেক এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে তাদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাছা থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভগ্নিপতি আব্দুর রশিদ জানান, প্রাইভেটাকরের মধ্যে তাদের দুজনকেই অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দেহে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুতরাং এটি কোনো ছিনতাই নয়, এটি পরিকল্পিত হ”ত্যা”’কা”ণ্ড বলেও দাবি করেন তিনি।