বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার রাতে “পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র গেরিলা আক্রমণের পরিকল্পনা” শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রতিবেদনটিতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড. আই. খান পান্নার বিরুদ্ধে সশস্ত্র গেরিলা হামলার পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু তথ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করেন ইলিয়াস হোসেন।
শনিবার, ইলিয়াস হোসেন তার পূর্বের অনুসন্ধানের বিস্তারিত নিয়ে আরেকটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “আমার কাছে তথ্য আছে যে ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারি, এবং ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই এই দিনগুলোতে স্মরণ অনুষ্ঠান বা সমাবেশের নামে নতুন ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া যাবে না। ওদের একত্রিত হতে দিলে আরও ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।”
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা উচিত। জেড. আই. খান পান্নার বিরুদ্ধে আনা ফোন রেকর্ডের বিষয়ে তিনি ওপেন চ্যালেঞ্জ দেন। ইলিয়াস দাবি করেন, “যেকোনো সংস্থা চাইলে পান্নার ফোন রেকর্ড যাচাই করতে পারে। আমার কাছে তার সঙ্গে হওয়া চ্যাটিংয়ের প্রমাণও রয়েছে।”
এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “বয়সের কারণ দেখিয়ে কেউই মাফ পেতে পারে না। আমরা দেখেছি কিভাবে নিরীহ আলেমদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মৃত্যুর পরেও জামায়াত নেতাদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। তাই, পান্নাকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে।”
এই ডকুমেন্টারির মাধ্যমে আবারও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ও বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।