১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু নির্ম/মভা/বে হ.ত্যা.ই করেনি, কেড়ে নিতে চেয়েছিল এ বাংলা ও বাংলার মানুষের অধিকারও। কিন্তু তা কখনই হতে দেননি দেশনেত্রী ও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
এদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, গতকাল শোক দিবসের সভায় কিছু অসুবিধার কথা জানান জাতির জনকের কন্যা। তিনি বলছেন, এত বড় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সেদিন কেউ প্রতিবাদ করেনি কেন? সেখানে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ পড়ে রইলো। বাবার লা’শ নিতে কেউ আসেনি। বঙ্গবন্ধুকে রিলিফ কাপড়ে দাফন করা হয়। মৃত্যুর পরও কিছু হবে বলে সে আশা করে না।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ কেন এই আক্ষেপ করছেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আক্ষেপের আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন। আমরা আসলে কি করছি? সবাই বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে, যেন আমরা বিশ্ব জয় করছি। আজ আমরা স্মরণসভা, শোকসভা, নৈশভোজের আয়োজন করছি। কিন্তু যদি নেত্রীর ওপর আঘাত আসে তাহলে এগুলো থাকবে তো!
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন অনেক আদর্শের কর্মী ছিল, কিন্তু কিছুই করা যায়নি। আর এখন হাইব্রিড অ্যাক্টিভিস্টের সংখ্যা বেশি, এটা চিন্তার বিষয়। সারা দেশের কথা বললাম না। এই নারায়ণগঞ্জের কথা বলি যেখানে আমি রাজনীতির চেয়ে অরাজনৈতিক, ঐক্যের চেয়ে সংঘাত বেশি দেখি। কেউ কেউ সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করে। আসলে এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করার চেয়ে খেতাব অর্জনের ফন্দিফিকিই বেশি।
তিনি বলেন, বেঁচে থাকার অপরাধে শেখ হাসিনাকে ২১ বার হ//ত্যা//র চেষ্টা করা হয়েছে। কোথায় ছিল মানবাধিকার সংস্থা ও তাদের কর্মীরা, কোথায় ছিল বিচার বিভাগ ও বিচারক? আইনজীবীদের এই বৈঠকে প্রশ্ন রাখতে চাই। দল ক্ষমতায় থাকার পরও বঙ্গবন্ধু হ//ত্যা/ মা/ম/লার রায় দিতে বিব্রত বোধ করেন বিচারপতিরা। এটাই বাস্তবতা, এটাই সত্য, এটাই লজ্জার।
এ সময়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের অন্যতম অন্যতম গুণী এই নেতা আরও বলেন, সামনে সময় খুব একটা ভালো না। আর তাই সবাইকে আগে থেকে সজাগ থাকার আহ্বান জানা তিনি।