Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Entertainment / মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করি দাবি করে সোহেল বললেন, এর জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম

মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করি দাবি করে সোহেল বললেন, এর জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম

বাংলা চলচ্চিত্রের সত্তরের দশকের অন্যতম কিংবদন্তি অভিনেতা মাসুদ পারভেজ। তবে পর্দায় ‘সোহেল রানা’ হিসেবে সকলেই চিনে থাকেন তাকে। তিনি একদিকে যেমন অভিনয় করেছেন, অন্যদিকে নির্মাণ করেছেন একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা। তবে বর্তমানে অভিনয়ে তেমন একটা নিয়মিত নন তিনি। এই মুহুর্তে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তাশীল হয়ে পড়েছেন সোহেল রানা।

এরই ধারাবাহিকতায় ভক্তদের মাঝে এবার কিছু কথা শেয়ার করেছেন গুণী এই অভিনেতা।

তার লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। এখনো বেঁচে আছি, দেশের নানা বিষয় প্রতিনিয়ত দেখছি। এ দেখার মধ্যে ভালোলাগা মন্দলাগাও রয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করি। ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। মার খেয়েছি। প্রতিরোধ করেছি। এ সবের মাঝে দেশপ্রেম ও অধিকার আদায়ের বিষয় ছিল প্রধান। এখন আমরা যে বিষয়গুলো দেখি তা বেশিরভাগই কষ্টদায়ক। ছাত্র বা ছাত্ররাজনীতির কথা এলে কষ্টই লাগে।

প্রশ্ন জাগে কারা ছাত্র? কারা ছাত্র রাজনীতি করে? প্রকৃত ছাত্র বা কত ভাগ? এসব প্রশ্ন জাগার সঙ্গে সঙ্গে যখন নানা চিত্র খবরে, টেলিভিশনে দেখি তখন আবারও প্রশ্ন জাগে এর জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম? এখন বয়স হয়েছে। অতীত তবু ভুলিনি। বর্তমান রাজনীতির নানা চিত্র দেখলে কষ্ট পাই, ভাবনায় অনেক কিছুই আসে। তারপরও চিন্তা করি স্বপ্ন দেখি, দেশে সুদিন ফিরবে। এখন সুদিনের প্রত্যাশা করা ছাড়া উপায় নেই। একদিকে যেমন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করি, অন্যদিকে দেশের রাজনীতি সুন্দরভাবে আগের মতো ফিরবে এটাও প্রত্যাশা করি। দিন শেষে এটাও বলতে হয়, এ অবস্থানে এসে স্বাধীনতার প্রাপ্তি এই আমাদের বাংলাদেশ। অপ্রাপ্তিও কম নয়, আর চাওয়া-দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক।

১৯৭২ সালে ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই দর্শকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। এরই ধারবাহিকতায় ক্যারিয়ারে আর কখনই পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

About

Check Also

গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি, জানা গেল কনের পরিচয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যখন সারা দেশের মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তখন বেশ নিরব ছিলেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *