‘হয়তো হবে না আর একসাথে পথচলা’ ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে তোলা বেশকিছু ছবি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পরে রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ আল লিমন (২২) গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আ’ত্ম’হ”ত্যা’ করেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
লিমন উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেনের হাওলা গ্রামের আব্দুল জলিল আকনের ছেলে।
রাজনীতির পাশাপাশি লিমন রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নকদের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার (ডিএসও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, মৃত্যুর আগে শুক্রবার রাতে লিমন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘হয়তো হবে না আর একসাথে পথচলা’ ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে তোলা বেশকিছু ছবি পোস্ট করেন। সেদিন রাতেই তিনি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ডিএসও লিমন কর্তৃপক্ষের কাছে নগদ টাকা পাওনা ছিল।
এর আগে তার মাও কিছু টাকা দিয়েছিলেন। বকেয়া টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে চাচার কাছ থেকে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক অফিসে জমা দিয়ে লিমনকে চাকরি দেওয়া হয়। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে মানসিক চাপে লিমন ”আ’ত্ম’হ’ত্যা’ করে থাকতে পারে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।