রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের নাখালপাড়া এলাকায় এক নারী চিকিৎসক ‘আ’ত্ম’হ”ত্যা’ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম সুস্মিতা সাহা। জানা গেছে, ওই নারী সদ্য মিরপুর-১৪ ডেন্টাল কলেজ থেকে পাস করেছেন। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা ছিল….একবার আমার মুখটা দেখো। আমি একবার তোমাকে দেখতে চাই। ওষুধ এ রিয়েকশন শুরু হয়ে গেছে। তোমার সুখ, তোমার পাশে অন্য কাউকে দেখে আমার বাঁচা সম্ভব না। কোথাও আমাকে পেলে অপরিচিত হয়ে এড়িয়ে যেতে। সুখী হও।
পুলিশ জানায়, সুস্মিতা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন নাখালপাড়া এলাকায় এক বান্ধবীর বাড়িতে ছিলেন। গতকাল রাতে বান্ধবীর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়েছে সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত নারী চিকিৎসক সুস্মিতার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ীর আরামনগর বাজারে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পুলিশের ধারণা, তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বান্ধবীর বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে সে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় এক বান্ধবীর বাসায় থাকতো। সুস্মিতা মিরপুর ডেন্টাল কলেজ থেকে সদ্য পাস করা ডাক্তার। কিন্তু কোথাও চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না। একটি ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। ছেলের দেওয়া মানসিক কষ্টে ঘুমের ওষুধ খায়, পরে তার স্বজনরা তাকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ইমপালস হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে তিনি একটি চিরকুট লিখেছিলেন, যা ইতিমধ্যেই পুলিশ জব্দ করেছে। ওসি মাজহারুল ইসলাম আরও জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।