গতকাল রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সিলেট নগরীর একটি এলাকা থেকে এক দম্পতির ‘মৃ’ত”দে”হ উ’দ্ধার’ করে পুলিশ। এরপর ম”য়না”ত’দন্তের ‘জন্য ‘লা’শ’ দু’টি’কে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য দেখা দেখা দিয়েছে। তাদের মৃ”’ত্যু”’র খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার-স্বজনদের মাঝে।
নি’হ’তদে’র নাম রিপন দাস (৩০) ও শিপা তালুকদার। তাদের পাশেই কাঁদছিল তাদের দেড় বছরের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির ভেতর থেকে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন ডাক দেয়। অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে দরজা খোলেনি। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ”লা”’শ’ উ’দ্ধার করে।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। সকাল ৯টার দিকে বাড়ির ভেতর থেকে মেয়েটির কান্নার শব্দ শোনা যায়। অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিন কে”টে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় শিশুটি মায়ের পা ধরে কাঁদতে থাকে।
ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেব, জালালাবাদ থানার এসি মিজান, জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান, ওসি (তদন্ত) খালেদ মামুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত চিরকুটের মধ্যে লিখা আছে, ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো।’ কিন্তু এই চিরকুটটি রিপন নাকি শিপা কে লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে এ বিষয়ে সিলেট জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই দম্পতি দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে তদন্ত চলমান রয়েছে।