ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লক থেকে নিচে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে ফিরোজের ঘরে তার পড়ার টেবিলে রাখা একটি প্যাডে ফিরোজের হতাশার কিছু কথা রয়েছে।
‘পৃষ্ঠার উপরের তারিখটি ১/০৯/২৩ লেখা আছে। আর নিচে লেখা আছে- মানুষ তার সম্মানে বাস করে। আজ মানুষের সামনে আমার কোনো সম্মান নেই। এই আমার পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আমার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী। আমারে মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’
এই লেখার নিচে মাঝ বরাবর লেখা— ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লেখা হয়েছে ‘রাত: ১১টা ৩।’
পৃষ্ঠার বাকি অর্ধেকও লেখা আছে, ‘আমার ওয়ালেট কার্ডে কিছু টাকা আছে। আমি আমার বন্ধুদের অনুরোধ করলাম মাকে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড হল ৮০৭৯, আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম।
আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’
এই লেখার নিচে আবারও লেখা রয়েছে— ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লেখা হয়েছে, ‘রাত ১১টা ৫।’
কাজী ফিরোজ ঢাবির জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্র। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
কাজী ফিরোজের বন্ধুরা জানান, এই লেখা দেখে মনে হচ্ছে ফিরোজের হাতের লেখা।