দীর্ঘদিন ধরেই নানা কারনে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঢাবির অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জায়না হাবিব প্রাপ্তি। তবে অনেক চেষ্টা করেও কোনো ভাবেই ডিফ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না তিনি। আর এরই মধ্যে গতকাল বুধবার ( Yesterday Wednesday ) (১ জুন ( June )) বিকেলের ( afternoon ) দিকে ঢাকা ( Dhaka ) রাজধানীর ১৬তলা এক ভবন থেকে পড়ে প্রাণহানি ঘটে জায়না হাবিবের।
এ ঘটনায় ছাদ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চিরকুটে প্রাপ্তি লিখেছেন, ‘আমার জীবন একটি ব্যর্থ জীবন। আমি আমার বাবা-মাকে খুশি করতে পারিনি, অন্য কাউকে খুশি করতে পারিনি। ঘটনা জানার পরও যখন কেউ চুপ থাকে, তখন সবকিছুই অর্থহীন মনে হয়। আমি গেলে কিছুই আসবে না যাবে, আমি জানি। Because every person is replaceable. আমরা কাদেরকে ( ) ভালোবাসি তারা সেটা জানে। কে বেশি কষ্ট পাবে সেটাও জানি। But nothing makes sence anymore. The pain helps increasing. Now tell me how much ( much ) a person can take.
Prapti, June 1, 2022।’
নোয়াখালী সদরের হাবিবুল আজিজের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট তিনি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর জোনের এসি মুজিব পাটোয়ারী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। ছাদ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি তার জীবনের দীর্ঘ হতাশার কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি জানান, ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে থাকত। বিকেলের দিকে ছাদে উঠে প্রায় এক ঘণ্টা। তারপর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে ওই ভবনের নিরাপত্তারক্ষী ছাদে তালা দিতে গেলে মেয়েটি তাকে ভেতর থেকে চলে যেতে বলে। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা চলে যান।
নোটগুলো উল্লেখ করে এসি মুজিব পাটোয়ারী বলেন, তিনি পারিবারিক সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন যে একজন মানুষ যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়, তখন তার জায়গায় অন্য একজনকে পাওয়া যায়।
তবে জায়না হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি রীতিমতো খুতিয়ে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।