চীনে একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৫১ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির শানজি প্রদেশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচারকারী সিসিটিভির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
একটি সিসিটিভি রিপোর্টে বলা হয়েছে, “এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “বিল্ডিং থেকে মোট ৬৩ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।” তাদের মধ্যে অন্তত ৫১ জনকে চিকিৎসার জন্য লুলিয়াং ফার্স্ট পিপল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ এ দাঁড়িয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তারা তলা বিশিষ্ট ও ভবনটি শানজি প্রদেশের লিশি জেলায় অবস্থিত। ভবনটি ইয়ংজু নামে একটি কয়লা খনির মালিকানা প্রতিষ্ঠানের। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।’
সিসিটিভি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘উদ্ধার কাজ চলছে (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত), তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
চীনের শিল্পাঞ্চলে এ ধরনের দুর্ঘটনা বিরল নয়, বরং নিয়মিত ঘটনা। এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ দুর্বল অবকাঠামো এবং শিথিল আইন প্রয়োগ।
এর আগে, চলতি বছরের জুলাইয়ে একটি স্কুলের ব্যায়ামাগারের ছাদ ভেঙে পড়লে ১১ জনের মৃত্যু হয়। তার ঠিক আগের মাসে, একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে বেইজিংয়ের এক হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়। তবে নিকট ইতিহাসে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালে। সে বছর তিয়ানজিনে একটি রাসায়নিক কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬৫ জন নিহত হয়।