Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মুসা একটা ভূয়া লোক, উনার কিচ্ছু নাই একটি বাড়ি আছে তাও স্ত্রীর নামে: হারুন

মুসা একটা ভূয়া লোক, উনার কিচ্ছু নাই একটি বাড়ি আছে তাও স্ত্রীর নামে: হারুন

মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের সুপরিচিত ও চেনা মুখ। তাকে নিয়ে কৌতূহলির শেষ নেই। তার লাইফষ্টাইল এবং ধন-সম্পদ নিয়ে প্রায় সময় নানা ধরনের তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। তবে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আবদুল কাদেরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গে তাকে জেরা করেছে ঢাকা মহানগর গো/য়ে/ন্দা (ডি/বি)। এই জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসেরের প্রসঙ্গে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে প্রকাশ্যে।

স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মহানগর গো/য়ে/ন্দা (ডি/বি) পু/লি/শ কার্যালয়ে হাজির হন আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আবদুল কাদেরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের তিনটি বিষয়ে স্পষ্ট হতে মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় মেরুন কালার একটি গাড়িতে করে মুসা বিন শমসের রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বলে জানিয়েছেন ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডি/সি) মশিউর রহমান। গাড়িতে মুসা বিন শমসেরের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ও ছেলে জুবেরী হাজ্জাজকে দেখা গেছে। এরপর তাদের ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন ৬টা ৫৫ মিনিটে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, আমার কাছে মনে হয়েছে উনি (মুসা) অন্তঃসারশূন্য মানুষ। উনাকে একটা ভূয়া লোক মনে হয়েছে। উনার কিচ্ছু নাই। গুলশানে একটি বাড়ি আছে তাও স্ত্রীর নামে। বাংলাদেশে তার নামে আর কিছু পাইনি। তবে উনি মুখরোচক গল্প বলে।

হারুন অর রশীদ বলেন, অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী আবদুল কাদেরের প্রতা/র/ণা/র দায় মুসা বিন শমসের এড়াতে পারবেন না। তিনি (মুসা বিন শমসের) প্র/তা/র/ক কাদেরকে তার আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তাকে ২০ কোটি টাকার চেক দিয়েছেন। তাকে ‘বাবা’, ‘সোনা’ বলেও ডাকতেন। জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের দাবি করেছেন তিনি কাদেরের প্রতা/র/ণা/র বিষয়ে কিছু জানেন না। আমরা তাকে বলেছি, একজন নাইন পাস লোককে আপনি না বুঝে কীভাবে নিয়োগ দিলেন, তার কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়ে কীভাবে লাভসহ ২০ কোটি টাকার চেক দিলেন? এ ছাড়াও মুসা সাহেব কাদেরের সম্পর্কে বেশি জানেন না বললেও আমরা তার সঙ্গে কাদেরের অ/জ/স্র কথপোকথন পেয়েছি। প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ডাকা হতে পারে। এদিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুসা বিন শমসের বলেছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভু/য়া অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাদের একজন মি/থ্যা/বা/দী। আমিও প্রতা/র/ণার শিকার হয়েছি। এ ভু/য়া অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব, তার বিরুদ্ধে মামলা করব। তবে ডিবি সূত্র জানিয়েছে, ভু/য়া অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্র/তা/র/ণার অভিযোগে গ্রে/ফ/তা/র আবদুল কাদেরের সঙ্গে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মুসা বিন শমসেরকে। মুসা বিন শমসেরের আইন উপদেষ্টা ছিলেন প্র/তা/র/ক আবদুল কাদের। কাদেরের প্রতিষ্ঠানে শমসেরের একাধিক ছবি টাঙানো ছিল। তিনি নিজেকে শমসেরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাডভাইজার হিসেবে পরিচয় দিতেন। প্র/তা/র/ক কাদেরের কাছ থেকে মুসা বিন শমসের ও তার স্ত্রীর সঙ্গে করা কিছু চুক্তিপত্র জব্দ করা হয়। এসব বিষয় জানতেই মূলত শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ডিসি মশিউর রহমান বলেন, আবদুল কাদের চৌধুরীর আসল নাম, আবদুল কাদের মাঝি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি। কিন্তু তিনি প্র/তা/র/ণা/মূ/লকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে নিজেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দিতেন। নিজের ১ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রাডো গাড়িতে জনপ্র/শা/স/ন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতেন। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতা/র/ণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ অক্টোবর মিরপুর ৬ নম্বরের বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হন কাদের। একই সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রে/ফ/তা/র করা হয়। তারা হলেন- সততা প্রোপার্টিজের চেয়ারপারসন ও আবদুল কাদেরের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ছোঁয়া, অফিস ম্যানেজার শহিদুল আলম ও অফিস সহায়ক আনিসুর রহমান।

বর্তমান সময়ে বেশ কিছু প্র/তা/র/ক/চক্র রয়েছে তারা সরকার এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অনিয়মের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তবে বর্তমান সরকার এই সকল অনিয়মকারীদের চিন্হিত করে আইনের আওতায় আনার তাগিদে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। ইতিমধ্যে এরই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকারের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

 

About

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *