মুসলিম লীগ হলো অনেক পুরানো একটি সংগঠন। দলটি সংগঠিত হবার পর থেকে আজও পর্যন্ত তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এবং লক্ষ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল হলো আওয়ামী লীগ। তারা দেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল। সম্প্রতি মুসলিম লীগ বলেছেন নির্বাচনের তিন মাস আগে তারা সংসদ বিলুপ্ত চায়।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ গত ১১টি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে একত্রিত করে ইভিএম ব্যবহার না করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনসহ ১৯ দফা সুপারিশ করেছে। সোমবার (২৫ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটি এ সুপারিশ করেছে। সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার নেতৃত্বে দলটির ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে যায়।
দলের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা চলবে না। জেলা জজকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন, তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা এবং নির্বাচনের তিন মাস আগে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া।
দলটি গত ১১টি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনী সরকার প্রবর্তনেরও সুপারিশ করেছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং কাস্টিং ভোট 51% এর কম হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় পুনরায় নির্বাচন।
ভোটার তালিকায় প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ, ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম, বুথ নম্বর, প্রার্থীদের বিনামূল্যে ভোটার তালিকার সফ্ট এবং হার্ড কপি বিতরণের সুবিধার্থে অ্যান্ড্রয়েড এবং ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের বিকাশ, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি, ভোট গণনা কক্ষ ও ফলাফল ঘোষণা কক্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক প্রথা বাতিল এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ‘না’ ভোট প্রবর্তনের সুপারিশ করেছে দলটি।
প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে নিয়ে দেশের মানুষ অন্য রকম একটি অনুভূতি অনুভব করছে। জাতীয় নির্বাচন মানেই সারা দেশেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়া। বেশি আনন্দিত হয় নতুন ভোটাররা। কারণ তারা জীবনে প্রথম দেশের জাতীয় ভোট দিতে যাচ্ছে।