সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সে বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাককে বিয়ে করেন ১৮ বছর বয়সী তিশা।
এই বিয়ে এখনো মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড পৌঁছেছে আদালত পর্যন্ত। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।
এবার বয়সে বড় জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।
তিনি অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে এখন মানসিক অসুস্থ। আমার মেয়ের চিকিৎসা প্রয়োজন। তার ডোপ টেস্ট করা প্রয়োজন। তাকে (তিশা) নে”শাদ্রব্য খাইয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। তিশা আমার খালাতো বোনকে বলেছে, মুশতাক হোটেলে নিয়ে তাকে ইয়া”বা ফেন”সিডিল খাওয়াচ্ছে।
তিশার বাবা বলেন, আমার মেয়ে রঙ (লাল) চা ছাড়া কিছুই খেত না, অথচ তাকে হোটেলে নিয়ে ম”দ খাওয়ানো হচ্ছে।
এর আগে খন্দকার মুশতাককে তিশার বাবার এমন অভিযোগের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে মোশতাক বলেন, আমি যেকোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্ট করতে রাজি আছি। পরে মুশতাকের চ্যালেঞ্জ তিশার বাবার নজরে এলে তিনি বলেন, গলাবাজি আর চাপাবাজি দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে মুশতাক।
তিশার বাবা অভিযোগ করে বলেন, আজ আমাকে স্কুল শিক্ষক আব্দুল জলিল ফোন করেছেন। ফোনে কান্না শুরু করেন তিনি। তিনি এখানে শিক্ষকতা করতেন। অবৈধভাবে আইডিয়াল স্কুলে ছাত্র ভর্তি করার কথা বলে তার কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা নেয়। পরে মোশতাক একজনকেও ভর্তি করাতে পারেননি। ফলে অভিভাবকদের অত্যা”চারে দেশ ছাড়তে হয় ওই শিক্ষককে। শুধু মোশতাকই আমাকে কাঁদায়নি, শিক্ষক জলিলকেও কাঁদায় সে। তার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিশা ও খন্দকার মোশতাক ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন।