প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ডা. মুরাদ হাসান গতকাল অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কানাডায় যাবার কথা রয়েছে। তিনি দুবাই হয়ে কানাডা যাবেন এমনটি জানা যায়। তবে তিনি কানাডায় গিয়েছিলেন কিনা বা কানাডিয়ানা অভিবাসন পুলিশ তাকে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেছেন কিনা সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
খলিলুর রহমান যিনি কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি দেশের অন্যতম একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মুরাদ হাসানের কানাডা সফরের বিষয়ে তিনি বলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এই দেশে প্রবেশ করতে পেরেছেন কিনা, কিংবা তিনি যদি প্রবেশ করতে পারলে কোথায় আছেন সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, মুরাদ হাসানের কানাডা সফর সম্পর্কে বিভিন্ন খবর আমরা পত্রিকায় দেখেছি। একটি পত্রিকা বলছে তাকে ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার আরেকটি পত্রিকা বলছে তিনি মন্ট্রিলে আছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার সফর সম্পর্কে দূতাবাসকে কিছু জানায়নি। এর আগে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে কানাডা সফরকালে আমাদের অবহিত করা হয়েছিল। মুরাদ হাসান এখন সংসদ সদস্য। অনেক সময় সংসদ সদস্যরা কানাডা সফর করলে আমাদের জানান বিভিন্ন ধরনের প্রটোকল সুবিধার জন্য। কিন্তু মুরাদ হাসান তার সফর সম্পর্কে আমাদের কিছু জানাননি।
কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে। অন্য কোনও কিছু হয়ে থাকলে (ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে) আমাদের অবশ্যই জানানো হতো। কানাডায় বাংলাদেশি কেউ বিপদে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার কাছাকাছি সময়ে ডা. মুরাদ হাসান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। তিনি এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে যান। ফ্লাইটটি ঐ দিন রাত ১১টা ২০ মিনিট ছাড়ার কথা থাকলেও রাত ১টার দিকে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি প্রথমে দুবাইয়ে যাবে এবং সেখান থেকে কানাডায় যাওয়ার কথা রয়েছে। একজন সাংসদ হিসেবে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকারী। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে তিনি ভিসার আবেদন করেন এবং সেই ভিসা ব্যবহার করার মাধ্যমে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ব্যক্তিগত সফরে কানাডায় গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।