আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই মাস বিজয়ের মাস, আর এই মাসে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাতজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে এটা নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না, নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না তদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞায়। আজ (সোমবার) সকালের দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিজয়ের মাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জ’ঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো প্রভাব পড়বে না। তাদের এই ঘোষনা নির্বাচনে প্রভাবিত করার কোনো কারণ নেই। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। আমরা কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে নির্বাচন করতে যাবো নাকি? ‘
যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞায় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র দেখছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের বিষয় তো অবশ্যই আছে। আমাদের এই বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যে বক্তব্য সেটা আমাদের দেশের জ’ঙ্গিবাদ, জ’ঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও স’ন্ত্রাসীদেরকে উৎসাহিত করছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই। মুরাদ যা বলেছে, তার চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য কথা বলার পরে আলালকে তিনি সমর্থন করেছেন। এটা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। এত অশ্রাব্য ও অশোভন বক্তব্য কি করে মির্জা ফখরুল সমর্থন করেন? আমরাতো মুরাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু তারা আলালকে বহিস্কারতো দূরের কথা বরং নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।
মুজিববর্ষে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবর্ধনা কর্মসূচির বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যায়নি। আগামী মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে আমাদের অনেক কাজ হয়ে গেছে। লেখা সংগ্রহ করা, জেলা পর্যায় থেকে প্রবীণ তালিকা নেওয়া হয়ে গেছে। এখন আমাদের সুবিধামতো সময়ে মার্চের মধ্যে আয়োজন করবো।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। এই শপথ অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এতে শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে অংশগ্রহণ করার জন্য জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান জাতির অনুষ্ঠান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এ বিষয়ের সকল ধরনের সমন্বয় সাধন করবেন। ১৮ ডিসেম্বর একটি বড় ধরনের বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি যে কিভাবে এই শোভাযাত্রাকে সুশৃংখল ও সুসংগঠিতভাবে সম্পন্ন করা যায়। শিখা চিরন্তন থেকে শুরু হয়ে এই মিছিলটি বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হবে।