খালেদা জিয়া ও তার নাতনী জাইমা রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করা এবং দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর সাথে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে কথাপোকথানের একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পর আলোচনায় আসেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর তাকে দলীয় প্রধান তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর গতকাল রাত ১ টার দিকে তিনি এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তার কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। এ বিষয় নিয়ে এবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বর্ষীয়ান নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডা. মুরাদ হাসানকে রক্ষার জন্য নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, শুনলাম আওয়ামী লীগ নাকি মুরাদকে বহিষ্কার করেছে। তার বিরুদ্ধে নাকি মামলাও হয়েছে। কিন্তু কালকে তিনি ফ্লাই করেছেন। তার মানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুরাদ অপরাধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীই তাকে রক্ষা করার জন্য নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা কি মিথ্যা?
তিনি বলেন, আজ আইনের শাসন না থাকলেও একজন ব্যক্তির শাসন আছে তার নাম শেখ হাসিনা। বিচার বিভাগও চলে একজনের কথায়। বাংলাদেশে গু’ম, হ’/ত্যা এমন কোনো ঘটনা নেই, যেটা এই সরকার জানে না বা তাদের নির্দেশ ছাড়া হয়।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে তার মুক্তির বিষয়ে আপিল করেছেন। সেই আপিল আবেদনটির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির নিকট কোনোভাবে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। খালেদা জিয়া এত বড় কোনো ধরনের অপরাধ করেননি যার জন্য চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে ক্ষমা চাইতে হবে। খালেদা জিয়ার প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে।