সাম্প্রতিক সময়ে অশালীন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান পদত্যাগ করেছেন। তিনি আজ মন্ত্রনালয়ের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে বিএনপির নেতারা শুধু পদত্যাগই নয়, তার বিরুদ্ধে শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল (সোমবার) রাতের দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সেটা না করে তাকে বরখাস্ত করতে পারতেন। তাহলে আরও অধিক খুশি হতাম। এখন শুধু পদত্যাগই নয়, তার বিরুদ্ধে শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, তার মতো একজন কিভাবে প্রতিমন্ত্রী হয় সেটাইতো বুঝতে পারছি না। এরপরও এই প্রথম কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। এজন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে পুরোটা সফল হবে যদি সরকার নিজেই পদত্যাগ করে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়।
ডা. মুরাদ হাসান সাম্প্রতিক সময়ে চরম আপ’ত্তিকর, অ’/শ্লীল মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে অশালীন ও অশ্রাব্য কথা বলে সমালোচিত এই প্রতিমন্ত্রী এর আগেও এমন মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর সাথে তার ফোনালাপের একটি অডিও ফাঁ’স হওয়ার পর তার চারিত্রিক দিক নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। ঐ অডিওতে নায়িকাকে অশ্লী’ল ধরনের কথা বলতে শোনা যায়। এই বিষয়গুলির প্রেক্ষাপটে তাকে মন্ত্রিসভা হতে সরিয়ে দেওয়ার বা পদত্যাগেরও দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দুই দিন তার বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বলা হয় প্রতিমন্ত্রীকে।